বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক নোবেল পুরস্কার বিজয়ের ১১০তম বার্ষিকী স্মরণে ‘ঠাকুর কনসার্ট’ উদযাপন করেছে স্টকহোমে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সুইডেনের স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে এ কনসার্ট হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বিদেশি কূটনীতিকরা, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘Lund International Tagore Choir’ নামক সুইডিশ শিল্পী-গোষ্ঠী।

সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহ্‌দী হাসান উপস্থিত সবাইকে উষ্ণ স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি গভীর প্রশংসা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার জয়ের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই জাতীয় সংগীত রচনা করেন এবং দুই বাংলার মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে তার সাহিত্যকর্মের সদর্প উপস্থিতি।

এসময় সুইডেনে ভারতের রাষ্ট্রদূত তন্ময় লাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন, সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের গুরুত্ব অপরিসীম।

এরপর অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষায় রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন ‘Lund International Tagore Choir’ নামক সুইডিশ শিল্পী-গোষ্ঠী। শিল্পীরা রবীন্দ্র পরিচিতি এবং রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনা দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন এবং রবীন্দ্র জগতের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন।

বিদেশি কূটনীতিকরা, সরকারি কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার জয়ের ১১০তম বার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য প্রতিভা এবং বাংলা ও বিশ্ব সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই তার সাহিত্যের প্রভাব সম্পর্কে জানতে পেরে তারা আনন্দিত হন।

শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহ্‌দী হাসান অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিল্পী-গোষ্ঠী, আমন্ত্রিত অতিথিসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান।

এসএসএইচ