যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্য এখন করোনার প্রকোপ থেকে অনেকখানি মুক্ত। রাজ্যের প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ ইতোমধ্যে করোনার টিকা নিয়েছে। বর্তমানে নতুন সংক্রমণের হারও অনেক কম। তাই বুধবার (১৪ এপ্রিল) নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে নিউইয়র্ক শহরের রেস্তোরাঁ ও বারগুলো মধ্যরাত পর্যন্ত খোলার অনুমতি দিয়েছেন। 

এই ঘোষণাটি আসে নিউইয়র্ক অফিস লোকাল ইনিশিয়েটিভস সাপোর্ট করপোরেশনের (এলআইএসসি এনওয়াইসি) সাম্প্রতিক একটি জরিপের কারণে। ওই জরিপে জানা যায়, আর্থিক সহায়তা না পেলে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ছোট বা মাঝারি ধরনের রেস্তোরাঁ ও বার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে এবং ৯০ শতাংশ আগামী ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। 

বুধবার গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো সাংবাদিকদের বলেন, আসলে আমরা করোনাকে কীভাবে মোকাবেলা করছি তার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। আজ আমরা রাজ্যের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অর্থনীতির চাকা সামঞ্জস্য রাখার বিষয়ে কথা বলছি। আমরা রাত ১১টার কারফিউ বাড়িয়ে করে মধ্যরাত পর্যন্ত করতে যাচ্ছি। যা আগামী সোমবার, ১৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, এই রোগ এখনও আমাদের মধ্যে আছে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আপনি দেখেন করোনা বেশ কয়েকটি রাজ্যে বেড়ে চলেছে। কয়েকটি দেশেও এটি ক্রমবর্ধমান। সুতরাং করোনা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত না হওয়া অবধি আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মার্চ মাসের শেষের দিকে এনওয়াইসি হসপিটালিটি এলায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে নিউইয়র্ক শহরের রেস্তোরাঁগুলো থেকে আদায় করা রাজস্বের পরিমাণ অর্ধেক কমে গেছে। ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর ওই জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা যয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর ৪৪ শতাংশে সরকার-প্রয়োগকৃত বন্ধকরণ এবং ইনডোর রেস্তোরাঁগুলোতে বিধিনিষেধের কারণে ৭৬% থেকে ১০০% বিক্রি কমেছে।

এলআইএসসি এনওয়াইসি’র নির্বাহী পরিচালক ভ্যালারি হোয়াইট সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য এই ছোট এবং সংখ্যালঘু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি রাজ্য সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ছোট এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিউইয়র্ক শহরের মেরুদণ্ড। ছোট ব্যবসায়ীদের মহামারির ক্ষতি থেকে না বাঁচাতে পারলে নিউইয়র্কের অসংখ্য বাণিজ্যিক এলাকা এবং জেলাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে।

এসএসএইচ