হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার

মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেওয়া রিক্যালিব্রেসি প্রক্রিয়ায় অবৈধদের বৈধ হতে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ হাইকমিশন। এমনটি জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন দেশটিতে থাকা প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের জন্য ‘চাকরির খোঁজ’ নামে একটি পোর্টাল চালু করে। এরপর মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিনই হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে থাকেন তারা। 

পোর্টাল চালুর সপ্তাহখানেক পর বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেন যে, হাইকমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। মানবসম্পদ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির শীর্ষস্থানীয় দুটি দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন এ বিষয়ে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেনি। তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ কার্যক্রমে মালয়েশিয়ায় চার শতাধিক বৈধ এজেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকার রিকেলিব্রেসি প্রক্রিয়ার নামে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বৈধ হতে একটি সুযোগ দিয়েছে। এ সুযোগ চলবে জুন পর্যন্ত। এ রিক্যালিব্রেসি প্রক্রিয়া সফল করতে ইমিগ্রেশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছে হাইকমিশন।

চলমান প্রক্রিয়াটি সফল করতে সহযোগিতা চাওয়া হয় দেশটির পক্ষ থেকে। এ কারণেই পোর্টালটি বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের দায়িত্ববোধ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণে চালু করেছে। অনেক মালয়েশিয়ান কোম্পানির মালিক রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ায় বৈধতার জন্য কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশিদের খুঁজে একত্রিত করার একটি উপযুক্ত পদ্ধতি চালুর অনুরোধ জানান হাইকমিশনকে। পোর্টালটি তৃতীয় পক্ষ ছাড়া মালিক-শ্রমিকের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবে।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক আনার ব্যাপারে খুব শিগগিরই একটি ফলাফল আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার।

আরএইচ