বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে কুয়েতের শেখ জাবের আল আহমেদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিনের কাছে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে হেরেছে। ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে এসেছিলেন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসীরা।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বুক ভরা আশা নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন। তবে জামাল ভূঁইয়ারা প্রবাসীদের ওই আশা মরুর বুকে বালি চাপা দিয়ে গেছেন।

প্রবাসের মাটিতে নিজ দেশের ফুটবল দল খেলতে আসবে শুনে প্রবাসীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের ক্যাম্পিং শেষে ১৭ মার্চ বিকেলে যখন কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ ফুটবল দল, তখন তাদের কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও প্রবাসী ফুটবল প্রেমীরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।

এরপর হোটেলে অনুশীলন মাঠে খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্মৃতি হিসেবে তোলা ছবি আবেগঘন স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায় প্রবাসীদের। অন্যদিকে জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মনরা বাংলাদেশি মিডিয়া ও সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে ২১ তারিখে প্রবাসীদের মাঠে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেন।

টিম ম্যানেজার আমের খানও বলেন, প্রবাসীরা মাঠে উপস্থিত থাকলে খেলোয়াড়রা উৎসাহ পাবে, ভালো খেলা উপহার দিতে পারবে।

সে অনুযায়ী ইফতার শেষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে শেখ জাবের আল আহমেদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের চার পাশের গেট জনসমুদ্রে পরিণত হয়। রাত সাড়ে ৮টায় স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেওয়ার পর দলে দলে গ্যালারিতে প্রবেশ করেন প্রবাসীরা। জার্সি গায়ে পতাকা হাতে মুখে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ধ্বনিতে অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

৬০ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতার গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শক ছিলেন প্রায় ৩০ হাজার, যার ৯৫ ভাগই বাংলাদেশের সমর্থক বলে ধারণা করা হচ্ছে। খেলা শুরুর ৩৫ মিনিট পর্যন্ত  প্রবাসী সমর্থকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। বাংলাদেশ বাংলাদেশ ধ্বনি ভেসে আসছিল চারদিক থেকে।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পরপর দুটি গোল খেলে বাংলাদেশিদের মধ্যে বিষাদ-হতাশার ছাপ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ৫-০ গোলে হেরেছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে এটি লাল-সবুজদের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচে ফিলিস্তিনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ওদে দাবাঘ। বাকি দুই গোল করেন শেহাব কুমবররের।

খেলা শেষে প্রবাসীরা একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রবাসীদের ভালোবাসায় বালি ছাপা দিয়ে শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে কুয়েত ত্যাগ করে ফুটবল দল।

এসএসএইচ