ভ্রমণপিপাসু কানাডিয়ানরা গ্রীষ্মের হাতছানি আসতে না আসতেই ছুটে যান ভ্রমণে। বছরের প্রায় আট মাস বরফে আচ্ছাদিত থাকে কানাডা। পাহাড় পর্বত বন পরিবেশে সৌন্দর্যের লীলাভূমি পরিবেষ্টিত কানাডার অভ্যন্তর ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক পর্যটক গ্রীষ্মের ছুটিতে কানাডায় পাড়ি জমায়। কিন্তু গত বছর থেকে তা আর দেখা যাচ্ছে না। করোনার বিধিনিষেধে ঘরে থাকতে হচ্ছে কানাডার নাগরিকদের। কিন্তু তারা যেন আর ঘরবন্দি থাকতে নারাজ।

সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শনিবার (১ মে) মন্ট্রিলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশের শুরুতেই কিছু বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করে। সমাবেশে মাস্ক, কারফিউ ও হেলথ পাসপোর্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। 

সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘নো মোর কারফিউ নো মোর লকডাউন, উই ওয়ান্ট ফ্রিডম’। সেখানে বিক্ষোভকারীদের উৎসবমুখর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। সমাবেশে ঠিক কত সংখ্যক লোক অংশ নিয়েছে সে সম্পর্কে পুলিশ কিছু না বললেও দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে এ সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।

উল্লেখ্য, কুইবেকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত যেকোনো সমাবেশের চেয়ে এটি বড় ছিল। এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না। সামাজিক দূরত্ব মানারও কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তারা করোনা প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায্য বলে দাবি করেন। তারা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকের সমালোচনা ও জানুয়ারি থেকে জারি থাকা কারফিউর বিরুদ্ধে কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজকরা করোনা প্রতিরোধে নেওয়া স্বাস্থ্য পদক্ষেপসমূহ বাতিলের দাবি জানায়।

এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সমাবেশকে ‘খুবই হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ হাজার ৩০০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ২৬ হাজার ১৩৮ জন।

এসএসএইচ