ইতালিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ইতালিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ঈদুল ফিতর পালন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য মুসলমানরা। 

রোমের ব্যস্ততম এলাকা লারগো প্রেনেসতে ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় জামাত হয় সাড়ে ৮টায়। পরে তৃতীয় জামাত হয় সাড়ে ৯টায়। এছাড়াও ইতালির বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করেন তারা। 

ঈদ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নায়েব আলী এবং সমন্বয়ক ছিলেন আল আমিন। ঈদের অনুভূতি নিয়ে বাংলাদেশ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা বলেন, করোনার কারণে সব কিছু সীমিত পরিসরে চলছে। তবে খোলা মাঠে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। 

ইসরাইলে হামলার নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধপ্রবণ পৃথিবীতে শান্তি কামনা করা হয়

তবে এ বছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নামাজের পর কোলাকুলি, হাত মুসাফার দৃশ্য চোখে পড়েনি। সবাই ইতালি সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেন। 

ঈদের জামাতে ছিল প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা। লারগো প্রেনেসতে খোলা মাঠে ঈদের জামাত চলাকালে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা করেন সামাজিক সংগঠন ইল ধূমকেতুর প্রতিষ্ঠান নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু এবং সার্বিক সহযোগিতা করে বৃহত্তর ঢাকা সমিতি। করোনার কারণে আনন্দ অনেকাংশেই ভাটা পড়েছে ঈদ উদযাপনে। তবে জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন প্রবাসীরা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের জামাত শেষে ইসরাইলে হামলার নিন্দা প্রকাশ করে যুদ্ধপ্রবণ পৃথিবীতে শান্তি কামনা করেন।

এইচকে