ঢাকা-কুয়েত রুটে সিঙ্গেল টিকিটের দাম বেড়েছে ৩ গুণ
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় তেল সমৃদ্ধ অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। দেশটির পর্যটন খাত সৌন্দর্যবর্ধন ও অবকাঠামো উন্নয়নের শ্রমিক চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে দেশটি।
অন্যান্য দেশে শ্রমিকরা ভিসা পাওয়ার পর ১/২ মাসের মধ্যে কুয়েতে প্রবেশ করলেও ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশি শ্রমিকদের ক্ষেত্রে। ভিসা পাওয়ার পরে দেশে মেডিকেল সেন্টারে হয়রানি ও ম্যানপাওয়ার চক্করে পড়ে ভিসার মেয়াদের শেষ মুহূর্তে দেওয়া হচ্ছে পাসপোর্ট জরুরি কাগজপত্র।
বিজ্ঞাপন
নিয়মিত প্রবাসীদের পাশাপাশি নতুন ভিসায় বিদেশগামী যাত্রীদের কারণে ঢাকা-কুয়েত রুটে দেখা দিয়েছে ফ্লাইট সংকট, যার ফলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার সিঙ্গেল টিকিট বর্তমানে ৩ গুণ বেড়ে পৌঁছেছে দেড় লাখ টাকায়।
নতুন ভিসার ৩ মাস মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও এজেন্সিগুলো ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে যাত্রী পাসপোর্টসহ জরুরি কাগজপত্র ডেলিভারি দেওয়া হয়। ফলে দেশে এবং কুয়েত টিকেট এজেন্সিগুলোতে বাংলাদেশ বিমান, কুয়েত এয়ারলাইন্স, জাজিরা সরাসরি ফ্লাইটের টিকেট খুঁজে না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে তিনগুণ দাম দিয়ে টিকেট নিচ্ছে। আবার সিট সংকটের কারণে নতুন ভিসায় কুয়েতগামী অনেক প্রবাসী ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ার সংঙ্কায় রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নতুন যাত্রীদের চাপের কারণে এই রুটে নিয়মিত যাত্রীরা বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে টিকেট আগানো ও পিছানো ক্ষেত্রে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।
নতুন ভিসায় বিদেশগামী যাত্রীদের স্বজনরা দেশে বেকারত্বের ছাপ কমাতে মেডিকেল হয়রানি বন্ধ, ভিসা প্রসেসিং দ্রুত করার টিকেট সিন্ডিকেট বন্ধে দাবি জানান তারা। এছাড়া রিজার্ভ ফান্ড বৃদ্ধিতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফলে ঢাকা-কুয়েত রুটে ভাড়া কমাতে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের দাবিও জানান বিদেশগামী যাত্রীর স্বজনরা।
সম্প্রতি নতুন যোগদান করা কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার এ কে এম ফরহাদের কাছে নতুন ভিসায় কুয়েতগামীদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া সংঙ্কায় ও টিকেটে সংকট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় আমরা অনেক সময় বড় ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকি। ঢাকা-কুয়েত রুটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকলে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যদি বিমানের সেলস ডিপার্টমেন্টে আবেদন বা চাহিদাপত্র দেয় তাহলে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ অবশ্যই সেটা বিবেচনা করে দেখবে।
এমএন