মালয়েশিয়ায় চার লাখ প্রবাসী টিকা নিতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়ক মন্ত্রী খায়রি জামাল উদ্দিন বলেছেন, প্রায় ৪ লাখ প্রবাসী ও অভিবাসী শ্রমিক কোভিড-১৯ টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। দেশটিতে ১৬ জুন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৪৬ লাখ মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে জানান মন্ত্রী। 

বুধবার (১৬ জুন) ‘হার্ড ইমিউনিটির পথে’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রবাসীরা শিগগিরই সরকারের শিল্প প্রতিরোধ কর্মসূচির (পিকাস) আওতায় করোনার টিকা পাবেন। 

মন্ত্রী খায়রি আরও বলেন, মালয়েশিয়া দেশটির শরণার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের (ইউএন) সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করবে। তবে জাতিসংঘের হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) কার্ডযুক্ত শরণার্থীদের কোভিড-১৯ শনাক্ত করার পরে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হবে। শরণার্থী ছাড়াও নথিভুক্ত অভিবাসীরা- যারা সাধারণত উৎপাদন, নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণ খাতে কাজ করেন- তাদের জাতীয় এবং শিল্প উভয় কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে। 

দেশটিতে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কীভাবে টিকা দেওয়া হবে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪০ লাখ বিদেশি কর্মী ছিলেন। 

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার মোট বিদেশি শ্রমিকের মধ্যে ৪০ শতাংশ ইন্দোনেশিয়ান। ২২ শতাংশ নেপালি এবং ১৪ শতাংশ বাংলাদেশি।

খায়রি বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে ভয় রয়েছে। কারণ, তারা ধরা পড়ার ভয়ে টিকা নিতে নাও আসতে পারেন। টিকা নিতে তাদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে হবে।

এ দিকে ইমিগ্রেশন বিভাগ সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। গত ৬ জুন সাইবারজায়া একটি অভিযানের সময় আটক বন্দিদের ওপর জীবাণুনাশক ছিটানো হয় বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন গত শনিবার (১২ জুন) বলেছেন, অনিবন্ধিত অভিবাসী শ্রমিকরা কোভিড-১৯ ইনোকুলেশনের যোগ্য হতে পারবেন না। মালয়েশিয়ায় আনুমানিক ২৫ লাখ বৈধ প্রবাসী রয়েছে।

এদিকে পৃথক বিবৃতিতে সিনিয়র ওয়ার্কস মিনিস্টার ফাদিল্লাহ ইউসুফ বলেন, মালয়েশিয়ার নির্মাণশিল্প উন্নয়ন বোর্ড (সিআইডিবি) ১৭ জুন নির্মাণশিল্পের ৪০ হাজার শ্রমিককে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় বেসরকারি খাতকে তাদের নিজস্ব যোগ্য মেডিকেল টিম ও টিকা কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করতে হবে। সিআইডিবি নির্মাণ শিল্পের পক্ষ থেকে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমন্বয় ও সহায়তা করবে বলে জানান ফাদিল্লাহ।

টিকা ফি বাবদ জনপ্রতি ১৪০ রিঙ্গিত খরচ হবে। এরমধ্যে ৫০ রিঙ্গিত সরকার দেবে। বাকি ৯০ রিঙ্গিত শ্রমিকদের নিয়োগকারীরা দেবেন। সিআইডিবির টিকা কর্মসূচি ৩০ জুন কুয়ালালামপুরে এবং ১৪ জুলাই সেলাঙ্গরে অনুষ্ঠিত হবে।

এইচকে