কানাডায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

কানাডায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫শ ৭৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার ২শ ৬৭ জন। 

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে আশঙ্কাজনকভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এতে চাপ বাড়ছে হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে। করোনা নিয়ন্ত্রণে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে চলছে কড়াকড়ি নজরদারি।

গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে ক্যুইবেকে আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। ফার্মেসি, গ্রোসারি শপ এবং জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ রয়েছে। 
জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রোসারি স্টোরে যেতে মানা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। রেস্টুরেন্টগুলোতে শুধু টেকআউট এবং ড্রাইভথ্রো খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পরে এবং দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। পুলিশ, স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা কড়াকড়িভাবে নজরদারিতে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ক্যুইবেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। ক্যুইবেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান ডুবে জানিয়েছেন, হাসপাতাগুলোতে প্রচুর ভিড়। প্রচুর রোগী। শুধু হাসপাতালে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সামাল দিতে হোটেল ও রিসিপশন হলগুলিতে কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ বেড স্থাপন করা হচ্ছে।

আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি বলেন, আলবার্টানদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 

উল্লেখ্য, কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

কানাডার বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশিরা নতুন ধরনের করোনায় আতঙ্কে রয়েছেন। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে নতুন ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কানাডায় দুইজনের নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। 

এদিকে যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। 

এইচকে