কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

মহামারি করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ ঠেকাতে কানাডায় কঠোর নজরদারি চলছে। কিন্তু এর মধ্যেও বিভিন্ন প্রদেশের মন্ত্রী-এমপিরা ছুটিতে দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সম্প্রতি ছুটি নিয়ে হাওয়াই আইল্যান্ড ভ্র,ণ করেন অ্যালবার্টার মন্ত্রী মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী ট্রেসি অ্যালার্ড। এ ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চান। এরআগে ছুটি নিয়ে পারিবারিক ভ্রমণে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন অন্টারিওর অর্থমন্ত্রী রড ফিলিপস্। লকডাউন এবং কঠোর করোনা শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পদত্যাগ করেন তিনি। 

অন্যদিকে সাস্কাচুয়ানের ক্যাবিনেট মিনিস্টার হারগ্রাভও ক্ষমা চেয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে পাম স্প্রিংস ভ্রমণ করার কারণে। সাস্কাচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কট মো মনে করেন, হারগ্রাভের ভ্রমণ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না।

করোনা মহামারির মধ্যে কানাডার বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রীদের ছুটিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দেশটির নীতিনির্ধারকসহ যারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ছুটি কাটাতে বিদেশে যাওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ছুটিতে বিদেশ সফর বাতিলের চেয়েও মানুষ বেশি কিছু বিসর্জন দিয়েছে। কানাডার বহু দায়িত্বশীল মানুষকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এর পেছনে উপযুক্ত কারণও রয়েছে। এটা তারা করেছেন চারপাশে থাকা মানুষগুলোকে রক্ষার জন্য।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার কারণে বেতনসহ ছুটির নতুন যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তাতে পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের জন্য এক হাজার ডলার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ট্রুডো বলেন, সহায়তার অর্থ এভাবে ব্যয় করতে হবে, সরকার তা কল্পনাও করতে পারেনি। কর্মসূচিটি নেওয়া হয়েছিল অসুস্থ্যতাজনিত ছুটিতে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে। অথবা তাদের জন্য যাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সহায়তা কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। বিদেশ ভ্রমণ করে দেশে ফিরে যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের দেওয়া জন্য নয় এটি। তাই অনাবশ্যক প্রয়োজনে কারোরই বিদেশ সফরে যাওয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৮ জন, মারা গেছে ১৬ হাজার ৭০৭ এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৭ জন।

এসএম