যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের উদ্যোগে বাংলাদেশে ‘অক্সিজেন ব্যাংক’
বাংলাদেশে ক্রমেই শহর থেকে মফস্বল সবখানে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। করোনায় আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই একপর্যায়ে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, যা অনেক সময় জীবন-মরণ নির্ধারণ করে থাকে। বর্তমানে দেশের অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের মজুত অপ্রতুল। এ অবস্থায় দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বাসিন্দাদের জন্য ব্যতিক্রমী সেবা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হাবিব রায়ান ও দিলরুবা কলি। তাদের উদ্যোগে খোলা হয়েছে ‘অক্সিজেন ব্যাংক’। ফোন করলেই করোনা আক্রান্তদের জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন নির্ধারিত জায়গায়।
গত কয়েকদিনে এই উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে। দূর পরবাসে থেকেও করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করা মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্টস ওয়েবের সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি জরুরি রেসপন্স টিম করা হয়েছে। নির্ধারিত নম্বরে ফোন করলেই স্বেচ্ছাসেবকরা দ্রুত ছুটে যান আক্রান্তদের ঠিকানায়।
বিজ্ঞাপন
অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। অক্সিজেন ব্যাংকের নম্বরগুলো হলো- ০১৭৪৭৬৯৫৮৫৭, ০১৯২১৩৭২০৮৫, ০১৭৩২১৭১২৩২।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিপুল পরিমাণ আইভি স্যালাইন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন প্রবাসীরা।
বিজ্ঞাপন
অক্সিজেন ব্যাংকের উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হাবিব রায়ান বলেন, প্রবাসে থাকলেও নিজ এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে মহামারির সময় পাশে থাকার চেষ্টা করছি। যদি আরও বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয়, আমরা ব্যবস্থা করব। তবে করোনা থেকে বাঁচতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় কোনো উদ্যোগই কিন্তু সুফল বয়ে আনবে না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্টস ওয়েবের সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, আমাদের সদস্যরা সার্বক্ষণিক সেবা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে কেউ ফোন করলে আমরা অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। টিমের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
এসএসএইচ