সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। করোনা মহামারির প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে শুধুমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে দূতাবাস ঘরোয়াভাবে এ অনুষ্ঠান পালন করে। 

দিনের কর্মসূচি পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করার মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। তাদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ কামালের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন। শেখ কামালের গৌরবময় জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের বড় সংগঠক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন এ বিষয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।  

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার জীবনী সম্পর্কে আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, বহু গুণের অধিকারী শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিশেষত যুব সমাজের কাছে অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি শেখ কামালের গৌরবময় জীবন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। 

ওএফ