জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) জার্মানিতে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। করোনা মহামারির নানা বিধিনিষেধ মেনে অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়।

দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব খালিদ হাসান অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ও অতিথিদের অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানান। তারপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে জার্মানিতে বসবাসরত কমিউনিটি সদস্যসহ দূতাবাসের মিনিস্টার এম. মুর্শীদুল হক খান ও কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সাইফুল ইসলাম শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

সর্বশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটে শেখ কামালের ভূমিকা ও ক্রীড়া, সংগীত, নাটক এবং সংস্কৃতির অন্যান্য অঙ্গনে তার অনন্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির কাছে শেখ কামালের ত্যাগ একজন কিংবদন্তী দেশ প্রেমিকের গল্প। তিনি তারুণ্যের প্রতীক। চির তরুণ এক বাংলার সন্তান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিলেন। বাংলাদেশের ছাত্র-যুবক, পেশাজীবী ও বীর জনতার সঙ্গে শেখ কামালও মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং ফিরে আসেন যুদ্ধ জয় করে। 

তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, ততদিন জাতির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।  

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোন এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সব শেষে দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব খালিদ হাসান আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

ওএফ