‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় সময় রোববার (৮ আগস্ট) কুয়েতের মিসিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের সঞ্চলনায় পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর রাষ্ট্রপতির বাণী, প্রধানমন্ত্রী বাণী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান মোহাম্মদ আবুল হোসেন (শ্রম কাউন্সিলর), ইকবার আখতার (প্রথম সচিব-পাসর্পোট ও ভিসা) ও প্রথম সচিব দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ।

এ সময় বঙ্গমাতার ওপর নির্মিত প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জন্মদিন উপলক্ষে উন্মুক্ত বক্তব্য দেন কুয়েত কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সমাপণী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকসহ তার পরিবারের সব শহীদদের এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির জনকের রাজনৈতিক সাফল্যে বঙ্গমাতার গুরুত্বপূর্ণ অবদান সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। পরিশেষে দেশ ও জাতীর কল্যাণে এবং সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কমনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।

এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী, কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির  প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেডএস