লকডাউনে বন্ধ থাকা রেল স্টেশনে লুট
জোহান্সেনবাগের পার্শ্ববর্তী বেনোনি রেলওয়ে স্টেশন লকডাউনে চরম লুটপাটের শিকার হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার রেলওয়ে স্টেশনগুলো। ওই সময় স্টেশনগুলো ব্যাপক লুটপাটের শিকার হয়েছে। মেট্রোরেল কমিউটার লাইনের যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়াটারের ছাদের টিন, বাথরুম জিনিসপত্র পর্যন্ত লুট হয়ে গেছে।
এদিকে সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন শিথিল করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। চালু করা হয়েছে রেল যোগাযোগ। তবে লুটপাটের কারণে অকেজো হয়ে গেছ বেশ কয়েকটি স্টেশন। তাই সময় মতো ট্রেন চলতে না পারায় বিপাকে পড়েছে রেলে যাতায়াত করা কর্মমুখী মানুষজন।
বিজ্ঞাপন
তবে লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে স্টেশনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে সেগুলোতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
লকডাউনে স্টেশনগুলোতে লুটপাটের খবর স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এগুলোর মধ্যে গাউটিং প্রদেশের প্রধান স্প্রিংস স্টেশন, ইস্ট রান্ডের নিউ ইরা, পোলাকের সাবস্টেশন, বেনোনি, নিউ এরা, এবং পোলাক স্টেশন উল্লেখযোগ্য।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিন জন-মানবহীন স্টেশন ভবনগুলোর কেবল, দরজা, টাইলস, ধাতু দিয়ে তৈরি জিনিসপত্রই লুট হয়নি। ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে রেললাইন বরাবর বৈদ্যুতিক তারও।
দেশটির যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বলছে, রেলওয়ে স্টেশনগুলো খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রেল অবকাঠামো পুনর্বাসনের জন্য ২০২২/২০২৩ আর্থিক বছরে স্টেশনগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ব্র্যাকপ্যান রেলওয়ে স্টেশনের জন্য ৪ মিলিয়ন, বেনোনির জন্য ৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন, স্প্রিংসের জন্য ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) সংস্কারের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে।
এমএইচএস