বার্লিনে জাতীয় শোক দিবস পালিত
যথাযথ মর্যাদায় জার্মানির বার্লিন দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনার পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশিরা এতে অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সময় রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে মিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্য সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবসে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া রাষ্ট্রপতির বাণী এবং দূতাবাসের মিনিস্টার এম. মুর্শীদুল হক খান প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় বক্তারা জাতির পিতার কর্মময় জীবন ও মহান অবদান শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়া। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই মহান নেতা আমাদের একটি মানচিত্র ও পতাকা দেওয়ার জন্যে তার জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই একটি মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে গেছে। একইসঙ্গে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মহামারি থেকে উত্তরণ আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অবদান রাখতে তিনি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এমএইচএস