মালয়েশিয়ায় বিদেশিকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টেবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যৌথ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে প্ল্যান্টেশন শিল্প ও পণ্যমন্ত্রী দাতুক জুরাইদা কামারউদ্দিন ও ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম-এসওপিগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রি-ফ্লাইট, আগমন, কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড ও কোয়ারেন্টাইন-পরবর্তী সময়। 

প্রি-ফ্লাইট প্রয়োজনীয়তার অধীনে বিদেশিকর্মীদের অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ থাকতে হবে। ফ্লাইটের ৩ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে। অভিবাসন বিভাগ ও সরকারের অন্যান্য বিধিনিষেধ নির্ধারিত শর্ত এবং নীতিমালা মেনে চলতে হবে। 

বিদেশিকর্মীদের মালয়েশিয়া প্রবেশের সময় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) এবং (কেএলআই-২) মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশের পর মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত বাধ্যতামূলক সাত দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে তাদের নিয়োগকর্তা বা মালিকের কাছে পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো শেষ হলে নিয়োগকর্তা বা মালিকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। পর্যায়ক্রমে সাবাহ এবং সারাওয়াকে কর্মী প্রবেশের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

এ দিকে মালয়েশিয়া তেল পাম বাগান সেক্টরে ৩২ হাজার বিদেশিকর্মী পাওয়ার আগে সরকার কঠোর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) সেট করবে। প্ল্যান্টেশন ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটিমন্ত্রী দাতুক জুরাইদা কামারউদ্দিন বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই সেক্টরের জন্য প্রথমে ইন্দোনেশিয়া থেকে বিদেশিকর্মী আনা হবে। তারপরে অন্যান্য উৎস দেশ থেকে আনা হবে। 

তিনি বলেন, বিদেশিকর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা কঠোর এসওপিগুলো প্রথমে অয়েল পাম বাগান সেক্টরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্তদের ওপর ফোকাস করবে। উৎস দেশগুলো থেকে বিদেশিকর্মীদের আনার প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ সরকার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জারি করবে।

প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ স্বাক্ষর হলেই শুরু হবে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি। শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর হবে বলে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ওএফ