প্রতীকী ছবি

শহরের বাসা-বাড়িতে পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাঙ্কির ব্যবহার করা হয়। গ্রাম মফস্বলেও অনেক জায়গায় এখন ট্যাঙ্কিতেই পানি সংরক্ষণ করা হয়। দেশের অনেক মসজিদেও মুসল্লিদের অজুর সুবিধার্থে বড় বড় হাউজে পানি সংরক্ষণ করা হয়। এতে অনেকেই একসাথে সহজেই অজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে পারেন।

এসব পানির ট্যাঙ্কি ও হাউজে অনেক সময় পশু-পাখির বিষ্ঠা বা অপবিত্র কোনও বস্তু পড়ে যায়। হাউজ ও ট্যাঙ্কিগুলোতে যেহেতু অনেক পানি থাকে তাই অপবিত্র বস্তু পড়ার কারণে পুরো পানি নাপাক হবে নাকি নাপাক বস্তু পড়ার পরেও পানি ব্যবহারের কোনও সুযোগ থেকে যায়- শরিয়তের সঠিক সমাধান জানা না থাকলে এনিয়ে অনেকেই সন্দেহে পড়ে যান। 

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- পানির ট্যাঙ্ক বা হাউস যদি ১০০ বর্গহাতের বেশি হয় অথবা যদি এমন হয় যে, পানি এক দিক দিয়ে প্রবেশ করে অপর দিক দিয়ে বের হয়ে যায়, মানে প্রবাহিত ট্যাঙ্ক বা হাউস, তাহলে তাতে নাপাক বস্তু পড়লে পানির রঙ, স্বাদ ও গন্ধ পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত পানি নাপাক হবে না।

তবে যদি পানির রঙ, স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন আসে তাহলে পানি নাপাক হয়ে যাবে। তখন ট্যাঙ্ক বা হাউজে থাকা পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। নাপাক বস্তু পড়ার কারণে ট্যাঙ্ক ও হাউজের পুরো পানি বের করে পরিষ্কার করতে হবে।

আলেমদের মতে, যদি ট্যাঙ্কের আয়তন ১০০ বর্গহাতের চেয়ে ছোট হয় এবং পানি এক দিক দিয়ে প্রবেশ করে অপর দিক দিয়ে বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে নাপাক বস্তু পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ট্যাঙ্কের সব পানি নাপাক হয়ে যাবে। এই পানি দিয়ে অজু-গোসল কিছুই করা বৈধ হবে না।

আলেমরা বলেন, এক্ষেত্রে ট্যাঙ্কের পানি পাক-পবিত্র করার দুটি পদ্ধতি রয়েছে, ১. ট্যাঙ্কের ভেতরের সব পানি বের করে ফেলা। ২. পাইপ বা নলের মাধ্যমে পানি প্রবাহিত করে দেওয়া। এভাবে পুরো নাপাক পানি বের করে ফেলতে হবে। (ফাতাওয়া শামি: ১/১৯৫; আহসানুল ফাতাওয়া: ২/৪৯; আলাতে জাদিদা কি শারঈ আহকাম: ১৯৬)

এনটি