জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবীজি (সা.)-এর ওফাতের পাঁচদিন আগে তাকে বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের কেউ আমার খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে নিষ্কৃতি চাইছি; কারণ, আল্লাহ তায়ালা আমাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন, যেমনিভাবে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন ইবরাহীম (আ.)-কে। আমি যদি আমার উম্মাতের মধ্যে কাউকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম, তবে আবু বকরকেই খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম। 

সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবী ও নেককারদের কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়েছিল। সাবধান! তোমরা কবরগুলোকে মসজিদ বানিও না। আমি তোমাদের তা থেকে নিষেধ করছি। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৩২)

এই হাদিসে মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে তার মর্যাদার বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা ভালোবাসার সর্বোচ্চ শিখরে, যেমনিভাবে ইবরাহীম (আ.) তা অর্জন করেছিলেন। এ কারণে তিনি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন; কেননা তার অন্তর আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা, সম্মান ও তার পরিচয় দিয়ে পরিপূর্ণ। ফলে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু বানানোর কোন স্থান নেই। সৃষ্টিজগতের কেউ যদি তার খলীল হতেন, তবে আবু বকর সিদ্দীক (রা.) হতেন। 

অতপর তিনি উম্মতকে তার প্রতি ভালোবাসার শরঈ সীমা লঙ্ঘন করতে সাবধান করেছেন, যেমনিভাবে ইয়াহুদী ও খৃস্টানরা তাদের নবী ও নেককারদের কবরের সাথে করেছে, এমনকি তারা তাদের কবরকে শিরকের মাধ্যম করেছে, যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করা হয়। তারা তাদের কবরকে মসজিদ ও উপাসনালয় বানিয়েছে। নবী (সা.) তার উম্মতকে পূর্ববর্তী উম্মতের মতো কবরকে মসজিদে পরিণত করতে নিষেধ করেছেন।  

এই হাদিসে রাসুল (সা.) কবরকে ইবাদতের জায়গায় পরিণত করা, সেখানে নামাজ আদায় করা, এর উপরে মসজিদ নির্মাণ করা অথবা গম্বুজ বানানো, ইত্যাদি থেকে নিষেধ করেছেন। এগুলোর কারণে শিরকে পতিত হওয়া থেকে সতর্ক করা হয়েছে। 

পূর্ববর্তী আলেম ও নেক মানুষদের ব্যাপারেও সীমালঙ্ঘন থেকে সাবধান করা হয়েছে; কারণ, এগুলো মানুষকে শিরকে পৌঁছায়। 

এনটি