প্রতীকী ছবি

বিতরের নামাজের পর বসে বসে আমরা দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে থাকি, এর কথা কি হাদিস শরিফে আছে? ওলামাগণ এ সম্পর্কে কী বলেন?

এর উত্তর হলো- হ্যাঁ, হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণনা আছে যে, আল্লাহর নবী বিতিরের পরে দুই রাকাত নফল নামাজ বসে আদায় করেছেন। তবে ‘এ নামাজ রাসুল (সা.)-এর নিয়মিত অভ্যাস ছিল’, এমন বোঝা যায় না। কারণ, আল্লাহর নবী সর্বশেষ নামাজ বিতরের মাধ্যমে শেষ করতেন। তাহাজ্জুদ পড়ে তিনি শেষ দিকে বিতর নামাজ আদায় করতেন। আবার আয়েশা (রা.) থেকেও দুই রাকাত নফল নামাজ বসে পড়ার বর্ণনাও রয়েছে।

সুতরাং এই দুই রাকাত নামাজ নিয়মিত প্রতি রাতেই বসে বসে পড়তে হবে, এমন নয়। বরং মাঝে মাঝে আমরা সেটি আদায় করতে পারি। আর যেহেতু আল্লাহর নবী বসে বসে আদায় করেছেন, বিধায় কেউ যদি বিতরের পরে এ দুই রাকাত বসে বসে— তার অনুসরণের উদ্দেশ্যে আদায় করে, তাহলে তিনি অনেক সাওয়াব পাবেন। তবে কমন বা জেনারেল রুল হলো, নফল নামাজ অপ্রয়োজনে বসে না পড়া উচিত। দাঁড়িয়ে পড়লে সওয়াব বেশি দেওয়া হবে। আর রাসুল (সা.)-এর এ বসে নামাজের কথা যে বর্ণনায় এসেছে, হয়তো রাসুল (সা.)-এর শারীরিক কোনো রোগ হওয়ার কারণে তিনি বসে পড়েছেন। কারণ, তিনি কেন বসে পড়েছেন, এ বিষয়ে নির্ধারিত কোনো কারণ পাওয়া যায় না।

এজন্য বুখারির ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফতহুল বারিতেও এ ব্যাপারেও ইবনে হজর আসকালানী রহ. বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। অবশেষে তিনি এ সারাংশের উপর সমাপ্তি করেছেন যে, কেউ যদি হযরত আয়েশা (রা.)-এর এ হাদিসের উপর আমল করতে চায়— তাহলে আমল করতে পারে। এতে তিনি সওয়াব পাবেন। তিনি রাসুল (সা.) নিয়মিত বলেছেন- اجعلوا آخر صلاتكم بالليل وترا যে, তোমাদের রাতে শেষ নামাজ, বিতরকে করো। অর্থাৎ সর্বশেষে বিতর নামাজ আদায় করো।

(সূত্র : সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৩৮, ৭৪০)