তুরস্কের ৭০০ বছর পুরনো কোরআনটি দেখতে যেমন। ছবি : সংগৃহীত

প্রায় সাত শ বছরের পুরনো কোরআন। হাতে লেখা এই পাণ্ডুলিপি। এটি পাওয়া গেছে তুরস্কের টোকাট প্রদেশের জিল এলাকায়। স্থানীয় একটি স্কুলের গ্রন্থাগারে। জানা গেছে, সন্ধান পাওয়া কোরআনের প্রাচীন কপিগুলো সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে পাঠানো হবে।

রবিবার (৫ ডিসেম্বর) তুরস্কের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্য ডেইলি সাবাহতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমকে টোকাট অঞ্চলের জাতীয় শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মুরাত কুকলি বলেন, পবিত্র কোরআনের পাণ্ডুলিপিগুলো হাতে লেখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ৭০০ বছরের পুরনো। আরেকটি পাণ্ডুলিপি প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘পাণ্ডুলিপিটি অনেক পৃষ্ঠা অবশ্য নষ্ট হয়ে গেছে। উভয় পাণ্ডুলিপি জিল এলাকার ইমাম হাতিপ হাই স্কুল গ্রন্থাগারের সংরক্ষণাগারে পাওয়া গেছে। প্রাচীন গ্রন্থগুলোর ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে— তা আলাদা করে রাখা হয়েছিল। শিগগির আমরা ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। অধিদপ্তরে তা বিতরণ করা হবে।’
৭০০ বছরের ও প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো কোরআনের পাণ্ডুলিপি। ছবি : সংগৃহীত

মুরাত বলেন, ‘এসব প্রাচীন দুর্লভ পাণ্ডুলিপি আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান। ইতিমধ্যে এসবের গুরুত্ব বিজ্ঞ মহলে সমাদৃত। তাই দ্রুত এসব গ্রন্থ নিরাপদে নেওয়া হয়েছে। হাদিসের দৃষ্টিকোণ থেকেও এসব গ্রন্থ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।

তুরস্কের জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘গ্রন্থাগার ছাড়া স্কুল নয়’ নামে একটি প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেয়। এ নিয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। 

কয়েক দিন আগে তুরস্কের কারাপিনার কনিয়া এলাকায় ঐতিহাসিক সুলতান সেলিম মসজিদে সাড়ে চার শ বছর আগের হাতে লেখা পবিত্র কোরআনের একটি কপি পাওয়া যায়। অটোমান সুলতান দ্বিতীয় সেলিম পবিত্র কোরআনের কপিটি উপহার দিয়েছিলেন।