বাদল রায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান ৭ ডিসেম্বর
গত ২২ নভেম্বর লিভার ক্যান্সার ও বিভিন্ন শারিরীক অসুস্থতায় ভুগে মারা যান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার ও বিশিষ্ট সংগঠক বাদল রায়। সোমবার ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান হবে।
এই ব্যাপারে বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায় বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও খানিকটা স্বল্প পরিসরেই ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে আগামী সোমবার বাদলের জন্য শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সবাই বাদলের আত্মার শান্তি কামনা করবেন।’
বিজ্ঞাপন
বাদল রায়ের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠজন সাবেক ফুটবলার সত্যজিত দাস রুপু বলেন, ‘গত ৪০ বছরে বাদল দার সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক ছিল। বাদল দা মোহামেডানের, আমি আবাহনীর হলেও আমাদের মধ্যে অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওর পরিবারের-ই একজন ছিলাম, আজীবন থাকব। বাদলের শ্রাদ্ধের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্ব পড়েছে আমার উপর। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টের।’
২২ নভেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাদল রায়। ২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্বাবধানে সিঙ্গাপুর থেকে তাকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়। সিঙ্গাপুর থেকে আসার পরেও নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকেন তিনি। সর্বশেষ তার শরীরে ক্যান্সারও ধরা পড়ে।
বিজ্ঞাপন
বাদল রায় ১৯৭৭ সালে ঢাকা মোহামেডানের জার্সি গায়ে ফুটবলার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৮৯ পর্যন্ত সাদা কালো জার্সিতে ছিলেন তিনি । বুট তুলে রাখার পর সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার।
তার প্রিয় ক্লাব মোহামেডানের ম্যানেজারও ছিলেন, এছাড়া বিভিন্ন সময় মোহামেডানের পরিচালক, স্থায়ী সদস্যর দায়িত্বে ছিলেন বাদল রায়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে দুই মেয়াদে যুগ্ম সম্পাদক ও তিন বারের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।
ফুটবল ছাড়াও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব, সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনে ফেডারেশনগুলোর অভিভাবক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া কল্যাণ সেবী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বাদল রায়।
ক্রীড়াঙ্গন ছাড়াও রাজনৈতিক অঙ্গনেও পদচারণা ছিল তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে তার জন্মস্থান কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন। জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হলেও আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
এজেড/ এমএইচ