কাদিজের বিপক্ষে গোলের পর মেসি/ছবি: এফসি বার্সেলোনা

সদ্যসমাপ্ত গেমউইকে বড় অনেক কিছুই দেখেছে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ইন্টার মিলান নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে হারিয়ে চলে এসেছে সিরি’আর চালকের আসনে, এভারটন পেয়েছে মার্সিসাইড ডার্বিতে লিভারপুলের বিপক্ষে রেকর্ডগড়া এক জয়। তবে এ গেমউইকে লিওনেল মেসি, জোসে মরিনিওদের রেকর্ডও নেহায়েত কম হয়নি। সেসব রেকর্ড এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-

লা লিগা
   শেষ সাত লিগ ম্যাচে গোল হজম করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। কোচ দিয়েগো সিমিওনের অধীনে এমন কিছু এবারই প্রথম ঘটল।

৪০০    বার্সার জার্সি গায়ে ৪০০তম লিগ ম্যাচে নেমেছিলেন সার্জিও বুস্কেটস। এর চেয়ে বেশি ম্যাচে বার্সার হয়ে খেলার কীর্তি আছে কেবল লিওনেল মেসি (৫০৬), জাভি (৫০৫), আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার (৪৪২)।

৩৮     কাদিজের বিপক্ষে গোল করে নিজের রেকর্ডই আরেকটু বাড়িয়েছেন মেসি। ৩৮তম লিগ প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়ে গোল পেলেন তিনি। সবচেয়ে বেশি লিগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোলের ক্ষেত্রে মেসির কাছাকাছি আছেন আরিৎস আদুরিজ ও রাউল গনজালেজ (৩৫)।

১১০    কাদিজ দল হিসেবে ১১০তম ও ক্লাবের হিসেবে মেসির ৮১তম শিকার। মেসি খেলেছেন, কিন্তু গোল পাননি এমন ক্লাবের সংখ্যা কেবল আটটি। এদের মধ্যে ইন্টার মিলান ও রুবিন কাজানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ চারটি ম্যাচ খেলে গোল পাননি বার্সা অধিনায়ক।

৬০    মেসির সর্বশেষ গোলটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। এর ফলে লিগে তার পেনাল্টি গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ৬০-এ। রেকর্ড থেকে একটি কম। সর্বোচ্চ পেনাল্টি গোলের কীর্তিটা রোনালদোর, ৬১টি।

৫০৬    মেসির আরেকটি রেকর্ড। বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ লিগ ম্যাচ খেলার কীর্তিটা এখন তার। ৫০৬তম ম্যাচে নেমে পেছনে ফেলেছেন সাবেক সতীর্থ জাভিকে। 

প্রিমিয়ার লিগ
   কমপক্ষে ২৫ গেমউইক পর প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে ওয়েস্ট হ্যাম, নতুন কাঠামোয় আসার পর থেকে এমন কিছু হয়নি কখনোই। জোসে মরিনিওর টটেনহ্যামকে হারিয়ে সে অভূতপূর্ব ঘটনাটাই ঘটিয়েছে ওয়েস্ট হ্যাম। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে শেষবারের মতো যখন শীর্ষ চারে মৌসুম শেষ করেছিল দলটি, ‘প্রিমিয়ার লিগ’ এর অস্তিত্বই ছিল না তখন। ‘ফুটবল লিগ’ নামে তখন সেটি ছিল ২২ দলের লিগ।

   ব্রুনো ফের্নান্দেজ গোল করেছেন, সতীর্থদের গোলেও যোগান দিয়েছেন, এমন ঘটনা সপ্তম বারের মতো ঘটল এ মৌসুমে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এমন কীর্তি চলতি মৌসুমে নেই কারো।

১১    আর্সেনালের মাঠে ১-০ গোলের জয় পেয়ে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি প্রতিপক্ষের মাঠে তুলে নিয়েছে টানা ১১তম জয়, যা ইংলিশ শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটিও ছিল তাদেরই। ২০১৭ সালের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা ১১ ম্যাচেই জিতেছিল সিটিজেনরা।

১৮    ইংলিশ শীর্ষ পর্যায়ে টানা ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আগেই গড়েছিল সিটি। রোববার রাতের জয়ে সংখ্যাটাকে ১৮-তে উন্নীত করেছে দলটি। এ সময়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ৪৭ বার, বিপরীতে হজম করেছে মোটে ৬টি গোল!

২০    মার্সিসাইড ডার্বিতে প্রতিপক্ষের মাঠে জয়, এভারটনের জন্য চলতি শতাব্দিতে এ স্বাদটা অচেনাই ছিল। গেল শনিবার সে স্বাদটা অবশেষে পেয়েছে কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তির দল। ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবারের মতো লিভারপুলের মাঠে জিতেছে দলটি, ম্যাচের হিসেবে অবসান ঘটেছে ২০ টি অ্যাওয়ে ম্যাচের অপেক্ষার। আর যদি নিজেদের মাঠের হিসেবও ধরা হয় তাহলে ২৪ ম্যাচ পর অল রেডদের হারিয়েছে এভারটন। যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ডেও ছেদ পড়েছে তাতে।

৫৪    গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর থেকে ব্রুনো ফের্নান্দেজের গোলে সম্পৃক্ততা ঘটেছে ৫৪ বার। এ সময়ে তার সমান কিংবা তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন, করিয়েছেন দু’জন। একজন লিওনেল মেসি (৫৪), আরেকজন রবার্ট লেভান্ডভস্কি (৬৮)।

৮১    জোসে মরিনিও টটেনহ্যাম ডাগআউটে ৫০তম লিগ ম্যাচটা উদযাপন করতে পারেননি আদৌ, দল যে ওয়েস্ট হ্যামের কাছে হেরেছে ২-১ গোলে! তবে তার অনেক আগেই মরিনিও বিস্মরণযোগ্য এক রেকর্ড হয়ে গেছে। কোচ হয়ে আসার পর ৫০টি লিগ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট পাইয়ে দিয়েছেন পর্তুগীজ এই কোচ। কোনো ক্লাবের হয়ে ৫০ ম্যাচের পর এর চেয়ে কম পয়েন্ট আর কখনোই সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হয়ে ৫০ ম্যাচ শেষে দলকে জিতিয়েছিলেন ৯৬ পয়েন্ট, যা টটেনহ্যামের কোচ হওয়ার আগে ছিল তার সর্বশেষ দল।

৯৮    বার্নলি, ব্রাইটন, ম্যানসিটি, এভারটন। শেষ চারটি ‘হোম’ ম্যাচেই হেরেছে লিভারপুল। ৯৮ বছর পর ঘরের মাঠে টানা চার হারের কবলে পড়েছে অল রেডরা।

বুন্ডেসলিগা
২২    নিজেদের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জয় আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের। ব্যাভারিয়ানদের বিপক্ষে ২২ বার জয় পেয়েছে দলটি, যার সর্বশেষটি এসেছে গত শনিবার, তুলে নিয়েছে ২-১ গোলের দারুণ এক জয়। উল্লেখ্য, শেষ এক দশকে বায়ার্নকে সবচেয়ে বাজে হারটাও উপহার দিয়েছে এই আইনট্র্যাখটই, ২০১৯ সালে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল দলটিকে। 

সিরি’আ
   রোববার এসি মিলানের বিপক্ষে গোল করে রোমেলু লুকাকু ডার্বিতে টানা গোল করলেন ৫ ম্যাচে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ডার্বিতে গোলের কীর্তি এটিই প্রথম।

এনইউ