ছবি: সংগৃহীত

সেই মার্চের শুরুতে দর্শকের সামনে খেলেছে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। এরপর করোনার প্রাদুর্ভাবে খেলাই চলে গিয়েছিলো হিমাগারে। সেখান থেকে গেলো জুন-জুলাইয়ে খেলা মাঠে ফিরলেও দর্শক ফেরেনি আর; খেলোয়াড়দের খেলতে হয়েছে নিস্তব্ধ স্টেডিয়ামে, ফাঁকা গ্যালারির সামনে। সে নির্বাসন শেষে রোববার রাতে দর্শকদের প্রবেশাধিকার মিলেছে, হোক তা সীমিত পরিসরে। লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের লড়াকু এক জয় দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে উঠে সে উপলক্ষ্যটা ভালোভাবেই রাঙিয়েছে চেলসি। ম্যানচেস্টারের দুই দল ইউনাইটেড আর সিটিও জয় দিয়ে দর্শকদের বরণ করে নিয়েছে এদিন।

শুরুটা মোটেও কথা বলেনি চেলসির পক্ষে। প্যাট্রিক ব্যামফোর্ডের লক্ষ্যভেদে সফরকারী লিডস ইউনাইটেড এগিয়ে যায় ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে। এরপর টিমো ভের্নার চেলসিকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেলেও পোস্ট থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে থেকে ব্যর্থ হন।

তবে চেলসি বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করলেও লিডসের ওপর চাপটা ঠিকই ধরে রেখেছিলো। যার ফল মিললো ২৭ মিনিটে এসে। রিস জেমসের নিচু ক্রসে বাম পা ছুঁইয়ে ব্লুজদের সমতায় ফেরান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগের ম্যাচেই চার গোল করা অলিভিয়ের জিরু।

ম্যাচে চালকের আসনে থাকলেও এগিয়ে যেতে চেলসিকে অপেক্ষা করতে হয় ৬১ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাসন মাউন্টের ক্রসে দারুণ এক হেডারে দলকে এগিয়ে দেন কার্ট জুমা। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ পান চলতি মৌসুমে প্রথম গোলের দেখা, চেলসিও স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দর্শক ফেরার দিনে পায় ৩-১ ব্যবধানের দারুণ এক জয়।

এর ফলে টটেনহ্যাম থেকে ১ ম্যাচ বেশি খেলে ২২ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে চলে এসেছে চেলসি। আজ রোববার রাতে জোসে মরিনিয়োর শিষ্যরা আর্সেনালকে হারালে অবশ্য ফিরে আসবে তালিকার শীর্ষে।

দিনের অন্য ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য নিজেদের মাঠে ফুলহ্যামের বিপক্ষে শুরু থেকেই ছিলো সপ্রতিভ। কেভিন ডি ব্রুইনার থ্রু থেকে দারুণ প্লেসমেন্টে করা রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে সিটি এগিয়ে যায় পঞ্চম মিনিটেই।

সিটির দ্বিতীয় গোলেও ছিলো অবদান ছিলো ডি ব্রুইনা-স্টার্লিংয়েরই। বক্সে ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে করা ফাউলের সুবাদে পেনাল্টি পায় সিটি। স্পটকিক থেকে ব্যবধান বাড়ান ডি ব্রুইনা।

ম্যাচের বাকি সময়ে প্রতিপক্ষ রক্ষণে আরও বহুবার হানা দিয়েছে সিটি, তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষমেশ মাঠ ছেড়েছে ২-০ ব্যবধানেই। 
সিটির নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেড ফুলহ্যামের মাঠে শুরুতে পিছিয়েই পড়েছিলো। ৩৮ মিনিটে থমাস সুচেকের গোলটির আগ পর্যন্ত বেশ ধুঁকেছে কোচ ওলে গুনার সোলশায়ারের শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধে ব্রুনো ফের্নান্দেজ মাঠে ফিরতেই যেনো প্রাণ ফিরে পায় ইউনাইটেড। ৬৫ মিনিটে দূরপাল্লার শটে ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান মাঝমাঠে তারই সঙ্গী পগবা। এর মিনিট দুয়েক পরই এগিয়ে যায় রেড ডেভিলরা। অ্যালেক্স তেলেসের ক্রস থেকে গোলটি করেন ম্যাসন গ্রিনউড। ৭৭ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের গোলে ৩-১ গোলের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানইউ।

এনইউ