মেসির ফেরার দিনে কাদিজের কাছে হারলো বার্সা
ছবি: সংগৃহীত
কার্লোস টুস্কেটস কি তবে ঠিকই বলেছিলেন? অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ছাড়াই ভালো বার্সেলোনা? অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির মন্তব্যটা যথার্থ হোক না হোক, পরিস্থিতি কিন্তু ইঙ্গিত করছে সেদিকেই। এক ম্যাচের বিশ্রাম শেষ কর রোববার রাতে মেসি ফিরলেন মাঠে, এদিনই কাদিজের বিপক্ষে ৩৯ বছর পর ২-১ ব্যবধানে হারের বিস্বাদ পেলো কোচ রোনাল্ড কোম্যানের বার্সা।
গেলো সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মেসিকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ কোম্যান। সেদিন ফেরেনৎসভারোসের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের দারুণ এক জয়ই পায় কাতালানরা। কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও একাদশে ফেরেন মেসি। সঙ্গে ফেরেন ফেলিপে কৌতিনিয়ো ও গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনও।
বিজ্ঞাপন
তারকাদের একাদশে ফেরার ফলটা অবশ্য পায়নি বার্সা। ১৪ বছর পর কাদিজের মাঠে খেলতে গিয়ে গোল হজম করে ম্যাচের নবম মিনিটেই। অ্যালেক্স ফের্নান্দেজের কর্নারে মাথা ছোঁয়ান ফালি, বার্সা ডিফেন্ডার অস্কার মিঙ্গেসা অবশ্য বিপদমুক্ত করার একটা চেষ্টা করেছিলেন, তবে তা শেষমেশ গিয়ে পড়ে আলভারো হিমেনেজের পায়ে, সহজ ট্যাপ ইনে কাদিজকে এগিয়ে দেন তিনি।
কৌতিনিয়ো, মার্টিন ব্রাথওয়েট সহজ দুটো সুযোগ নষ্ট না করলে কাতালানরা ম্যাচে ফিরতে পারতো প্রথমার্ধেই। লিওনেল মেসির একটি ফ্রি কিকও আলোর মুখ দেখেনি এ সময়ে। এছাড়া বিরতির আগে কাতালানরা খুব একটা বিপদে ফেলতে পারেনি স্বাগতিক রক্ষণকে।
বিজ্ঞাপন
বিরতির সময়ে এজন্যেই মিঙ্গেসাকে তুলে উইঙ্গার পেদ্রি গঞ্জালেসকে ও নিস্প্রভ কৌতিনিয়োর জায়গায় উসমান দেম্বেলেকে মাঠে আনেন কোচ কোম্যান। ফলটাও মিললো হাতেনাতে। প্রতিপক্ষ রক্ষণে কাতালানদের সরব উপস্থিতি বাড়ে তাতে। ৫৭ মিনিটে সমতাসূচক গোলটাও এলো সে সূত্রেই। মেসির বাড়ানো বলে শট নেন উইংব্যাক জর্দি আলবা, কাদিজ ডিফেন্ডার পেদ্রো আলকালার পা ছুঁয়ে যা জড়ায় স্বাগতিক জালে।
তবে বার্সার সে সুখ টিকলো মোটে ছয় মিনিট। ৬৩ মিনিটে আলবার থ্রো ইন আয়ত্বে নিতে ভুল করেন ক্লেমেন্ত লংলে, ঠিকঠাক বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক টের স্টেগেনও। সুযোগটা কাজে লাগান অভিজ্ঞ আলভারো নেগ্রেদো, এগিয়ে দেন কাদিজকে।
পরমূহুর্তেই বার্সা সমতায় ফেরার সুযোগ পায়। তবে সার্জিও বুস্কেটসের পাস থেকে সার্জিনিয়ো ডেস্টের শটটা বেরিয়ে যায় লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে।
বার্সা কোচ আবারও ফেরেন বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের কাছে, ফ্রান্সিসকো ত্রিঙ্কাওকে মাঠে আনেন ডেস্টের বদলে, বুস্কেটসের জায়গায় আসেন মিরালেম পিয়ানিচ। তবে তাতে লাভ হয়নি খুব একটা, বরং অতিরিক্ত ফরোয়ার্ডদের উপস্থিতি দলকে রক্ষণাত্মকভাবে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিলো আরও। শেষদিকে নেগ্রেদোর শট দারুণ রিফ্লেক্সে যদি না ফেরাতেন স্টেগেন, ব্যবধানটা বাড়তো আরও। তা না হলেও ফলটা খুব একটা সুখকর হয়নি বার্সার, ১৯৯১ সালের পর প্রথমবারের মতো কাদিজের কাছে হার যে ততক্ষণে নিশ্চিত হয়ে গেছে!
কাদিজের জন্যে অবশ্য রাতটা হয়েছে বেশ আনন্দের। লা লিগায় ফিরেই মৌসুমের প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সাকে হারানোর অনুভূতিটা এর চেয়ে কম হয় কি করে?
এনইউ