আবার জাতীয় দলের ম্যানেজার হলেন ইকবাল
জাতীয় দলের ফুটবলারদের সাথে ম্যানেজার ইকবাল সবার ডানে। ফাইল ছবি
সাবেক ফুটবলার ইকবাল হোসেনকে নেপাল সফরের জন্য জাতীয় দলের ম্যানেজার ঘোষণা করেছে বাফুফে। জাতীয় দলের ক্যাম্পে সাধারণত ম্যানেজারের কাছে রিপোর্ট করেন ফুটবলাররা। এবার ম্যানেজার ছাড়াই শুরু হয়েছিল জাতীয় দলের ক্যাম্প। এক দিনের মধ্যেই ম্যানেজারের নাম ঘোষণা করেছে বাফুফে।
পুনরায় ম্যানেজারের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি ফুটবলার ইকবাল। ফুটবলের সঙ্গেই থাকতে চাই। নির্বাহী কমিটি আমার ওপর আস্থা রাখায় ধন্যবাদ। দলের শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার বজায় রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকব।’
বিজ্ঞাপন
আগামীকাল সোমবার সকালে জাতীয় দলের অনুশীলন রয়েছে। আজ কোভিড টেস্ট করিয়েছেন ইকবাল। রিপোর্ট পেলে আগামীকাল মাঠে আসবেন। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন।
এই ব্যাপারে ইকবাল এখনো কিছু জানেন না, ‘আমাকে ফেডারেশন থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আজ রাতে হয়তো বাসায় চিঠি এসে পৌছাবে। ম্যানেজারের মেয়াদ ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারব।’
বিজ্ঞাপন
সাবেক জাতীয় ফুটবলারের জন্য ম্যানেজারের পদ নতুন কিছু নয়। এর আগেও কয়েক বার ম্যানেজার ছিলেন। ২০১৫ কেরালা সাফ, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপসহ আরও কয়েকটি টুর্নামেন্টে ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন এই সাবেক মিডফিল্ডার। সর্বশেষ নেপাল সিরিজে ম্যানেজার ছিলেন আমের খান।
এর আগে আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু কয়েক মেয়াদে জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন। আবাহনী দেশের শীর্ষ ক্লাব। আবাহনীর ম্যানেজার জাতীয় দলের ম্যানেজার হওয়ায় অনেক প্রশ্ন উঠতো। সেই প্রশ্ন এড়াতে বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিন ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত নন এবং বাফুফে নির্বাহী কমিটির বাইরে কাউকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দিতে চেয়েছেন।
সেই হিসেবে বাফুফে ইকবালকে বেছে নিয়েছেন। জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ সভাপতির সাথে আলোচনা করে ম্যানেজারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইকবাল ২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফে নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য হিসেবে জিতেছিলেন। এবার কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেলে থেকে নির্বাচন করে হেরেছেন।
এজেড/এমএইচ