ছবি: সংগৃহীত

জোসে মরিনিয়ো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারে কখনোই হারেননি আর্সেনালের বিপক্ষে। চলতি মৌসুমের প্রথম উত্তর লন্ডন ডার্বিতে সে ধারাটা ধরে রাখতে পারলেই শীর্ষস্থান ফেরত পেতো টটেনহ্যাম হটস্পার। সন হিউং মিন আর হ্যারি কেইনের কল্যাণে সেটা পেরেছেও তারা। আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফিরেছে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে।

চলতি প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে টটেনহ্যামের উড়ানের কারিগর সন আর কেইন। আর্সেনালের বিপক্ষে জয়টাও এসেছে দুয়ের যুগলবন্দীতে। কেইনের বাড়ানো বলে বক্সের বাইরে থেকে সনের দারুণ এক বাঁকানো শটে ১৩তম মিনিটেই এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম।

সন অবশ্য থামলেন না সেখানেই। বিরতির একটু আগে স্পার্সদের দ্বিতীয় গোলের দৃশ্যটা হলো প্রথম গোলের ঠিক উল্টো। সনের বাড়ানো বল নিয়ে আর্সেনাল বিপদসীমায় ঢুকে কাছের পোস্টে আগুনে এক শট করেন কেইন, টটেনহ্যাম এগিয়ে যায় দুই গোলে। কেইন ক্লাবের হয়ে ২৫০তম গোলের দেখাও পান এতে, যা আবার নিজেদের মাঠে তার শততম গোলও!

এর আগে-পরের গল্পটা মরিনিয়োর। পুরো ক্যারিয়ারে কখনোই আর্সেনালের কাছে না হারার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ তিনি, ম্যাচের পরতে পরতে দেখা মিলেছে তারই ছাপ। যেখানে টটেনহ্যামের রক্ষণশীল কৌশলের কাছে হার মানতে হয়েছে আর্সেনালকে। দ্বিতীয়ার্ধে স্পার্সরা আর গোলের ঝুঁকি নেয়নি, সন্তুষ্ট থেকেছে ২-০ ব্যবধানের জয়েই। ম্যাচের পর টটেনহ্যাম কোচের কথাতেও বোঝা গেলো, বড় জয়ের চেয়ে নির্ঝঞ্ঝাট ছোট ব্যবধানের জয়েই বেশি খুশি তিনি। বললেন, ‘এটা গোল করার, কিংবা বিশ্বমানের খেলোয়াড় হওয়ার ব্যাপার নয়। এটা ভালো খেলা, আর দলের জন্যে সেরাটা ঢেলে দেয়ার ব্যাপার।’

পুরো ম্যাচে কোচ মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল খুব একটা ঝামেলায় ফেলতে পারেনি টটেনহ্যামকে। মরিনিয়োর ভাষ্য, ‘আর্সেনাল আমাদেরকে কিছু সমস্যায় ফেলেছিলো, তবে তা সমাধানে বেগই পেতে হয়নি আমাদের।’

এ জয়ের পর আর্সেনাল ফিরে এসেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আগের দিন চেলসি লিডসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে এক ম্যাচ বেশি খেলে পয়েন্ট তালিকার এক নম্বর অবস্থানে উঠেছিলো। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে সোমবার রাতে টটেনহ্যাম ফেরত পেয়েছে নিজেদের জায়গা। ১১ ম্যাচ শেষে সাত জয় আর তিনটি ড্র থেকে ২৪ পয়েন্ট পেয়েছেন কেইনরা।

পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা লিভারপুলের পরিসংখ্যানটাও একই, তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে দলটি। আর সমান ম্যাচ থেকে ছয় জয় আর চার ড্র থেকে ২২ পয়েন্ট পেয়ে চেলসি আছে তালিকার তৃতীয় স্থানে।

এনইউ