জাতীয় সংগীতের সময় খেলোয়াড়দের সঙ্গে শিশু থাকে কেন?
ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল; বর্তমানে খেলা শুরুর আগে জাতীয় সংগীতের সময় খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা যায় একজন করে শিশুও। এই নিয়ম প্রথমে শুরু হয়েছিল ফুটবল খেলায়। পরে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাতে এ নিয়ম শুরু হয়। এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র।
খেলা শুরুর আগে প্লেয়ারদের সঙ্গে সারিবদ্ধভাবে হাত ধরে মাঠে প্রবেশ করে এই শিশুরা। জাতীয় সংগীতের সময় প্লেয়ারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তাদেরও গাইতে দেখা যায়। কিন্তু কেন এমনটা করা হয়, এই শিশুদের কী বলা হয় তার উত্তর অজানা অনেকের।
বিজ্ঞাপন
এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। বেশিরভাগ সময় এই শিশুরা আসেন বিভিন্ন এনজিও ও অনাথ আশ্রম থেকে। যারা কি না অনাথ, দরিদ্র অথবা নানা সুবিধা থেকে ব্রাত্য। এইভাবে ওই সংস্থাগুলোর অর্থ সংস্থান হয় ও শিশুরাও প্রিয় তারকাকদের সান্নিধ্যে এসে জীবনে বড় হওয়ার অনুপ্রেরণা পান। পাশাপাশি জমকালে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয়।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
এছাড়া শিশুদের মন স্বচ্ছ হয়, কোনও হিংসা থাকে না, সহজে বন্ধুত্ব করে নিতে পারে। তাই শান্তির বার্তা দিতে, প্লেয়াররাও যেন স্বচ্ছভাবে ক্রিকেট খেলে, প্রতিপক্ষকে বন্ধু মনে করে সেই কারণেও শিশুরা থাকেন বলে মনে করেন অনেকে।
খেলার মাঠে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে, তা বোঝানোর জন্যই জাতীয় সংগীতের সময় শিশুদের সঙ্গে করে আনা হয়। শিশুরা জাতীয় সংগীতের সময় প্লেয়ারদের সঙ্গে থেক সেই কথাগুলোই প্রকারন্তরে সেই বার্তাই দেয়।
এবার শেষে যেই বিষয়ে সবার জানার কৌতুহল রয়েছে তা হল জাতীয় সংগীতের সময় যে শিশুরা প্লেয়ারদের সঙ্গে মাঠে থাকে তাদের কী বলা হয়। নির্দিষ্টি কোনও নাম না থাকলেও অনেকে এদের ‘এসকট অথবা ম্যাসকট চিলড্রেন’ বলে হয়ে থাকে।
এসএম