খুব বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এক মাস আগের স্মৃতিতে ফিরে তাকালেও সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং বিভাগ নিয়ে ছিল হাহাকার! টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘এটা (টেস্টে ভালো মানের পেসার) যেদিন আল্লাহ দেয়। এ ছাড়া আর কী বলবো।’ এই দৃশ্যপট যেন অনেকটাও বদলে গেছে গত নিউজিল্যান্ড সফরে। চলতি মাসের শুরুতে কিইদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া মাউন্ট ম্যাঙ্গানুই টেস্ট জয় পেসারদের হাত ধরেই।

এই এক ম্যাচ জিতেই যেন আত্মবিশ্বাসের পালে রসদ পেয়েছে বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগ। সে ম্যাচের নায়ক ছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। প্রথম ইনিংসে ৭৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া এবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৬ রানে নেন ৬ উইকেট। দেশে ফিরে নতুন স্বপ্ন এবাদতের চোখে। টেস্ট ক্রিকেটে জুটি গড়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান। ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ড ব্রড আর জেমি অ্যান্ডারসনের মতো গড়তে চান জুটি। এবাদত নিজের সঙ্গে ভাবছেন তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলামকে নিয়ে।

রোববার চট্টগ্রামে সংবাদমাধ্যমকে এবাদত বলছিলেন, ‘ওনারা (ব্রড-অ্যান্ডারসন) হয়তবা অনেক ভালো ও অভিজ্ঞ। ওনারা অনেকদিন ধরে টেস্ট খেলছেন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। আমি মাত্র ১১টা টেস্ট খেলেছি। তাসকিন, শরিফুল মাত্র শুরু করেছে। তো আমরা চেষ্টা করছি ভাল করার। আমরা চাইছি জুটি হয়ে বল করবো, বা অ্যান্ডরসন-ব্রডরা যেভাবে স্টার্ট করে বা দলকে জেতায় বা শুরু করে সেটা আমরাও চেষ্টা করছি।’

তবে এজন্য সময় চাইলেন এবাদত, ‘কিন্তু এটা তো সময়ের ব্যাপার। মূল ব্যাপারটা হল আমরা কি চেষ্টা করতেছি। আপনি বাহিরের থেকে খুব সুন্দর দেখতে পারবেন। কে কি করছে। তো আমরা সেই চেষ্টা করছি ভেতর থেকে যেন টেস্টে আমরা আরো উন্নত করতে পারি।’

কিছুদিন আগেও বিস্তর অভিযোগ ছিল বাংলাদেশি পেসাররা টেস্ট খেলতে চান না। তবে গত ২ বছরে সে ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে অনেকের। এবাদতের সঙ্গে আবু জায়েদ রাহি, খালেদ আহমেদ নিজেকে টেস্টের জন্য শপে দিয়েছেন। তালিকায় আছেন তাসকিন, শরিফুল আর শহিদুল।

এবাদত বলেন, ‘অমরা বর্তমানে টেস্ট খেলার ৬ জন বোলার আছি। এটা হচ্ছে ভালো একটা মোমেন্টাম দরকার। নিউজিল্যান্ডে তাসকিন ও শরিফুল যে রকম দারুণ শুরুটা এনে দিছে, এরকম যদি প্রতি টেস্টে করতে পারি এবং বছরে ১০টার মতো টেস্ট খেলতে পারি তবে শেখার জায়গাটা আরো উন্নত হবে। কিন্তু যদি গ্যাপটা থাকে তো ফ্লো ধরাটা কঠিন হয়। নিয়মিত ম্যাচের মধ্যে থাকলে জুটির বিষয়টা ধরা সহজ হবে।’

যোগ করেন এবাদত, ‘আমাদের ৬ জনের পেসার গ্রুপ আছে। আমরা প্রতিদিন কথা বলি নিজেদের উন্নতির ব্যাপার নিয়ে। আমরা চেষ্টা করছি একজন আরেকজনকে সহযোগীতা করে কয়েক বছরের মধ্যে ভাল অবস্থায় যাওয়ার চেষ্টা করছি।’

টিআইএস