বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে একজন লেগ স্পিনারের আক্ষেপ দীর্ঘদিনের। আধুনিক ক্রিকেটে বিশ্বজুড়ে যেখানে লেগ স্পিনারদের দাপট, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই টাইগার শিবিরে কোনো লেগ স্পিনার নেই। এমনকি এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দলেও পাওয়া যায়নি কোনো লেগ স্পিনার। জাতীয় দল বা এর আশেপাশে যে কয়েকজন লেগ স্পিনার আছেন, তাদেরকে মানসম্পন্ন মনে হচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকদের।

নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলছিলেন, ‘মানসম্পন্ন লেগস্পিনার তেমন নেই তাই খেলছে না। জাতীয় দলের জন্য কিন্তু চেষ্টা করা হয়েছিল একটা সময়। মোটামুটি হলেই তাকে খেলার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু যখন এরকম টুর্নামেন্টগুলো হয়, বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক, তখন তারা একটা প্লেয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য দলে নেবে না।’

বাংলাদেশে লেগ স্পিনার যে নেই এমনটিও নয়। তবে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জুবাইর হোসেন লিখন, রিশাদ হোসেন, মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি, আলিস আল ইসলামরা থেকেও যেন নেই। এবার যেন বিপিএলে ফ্র‍্যাঞ্চাইজিগুলোর স্থানীয় লেগ স্পিনার খেলানোর বেশ অনীহা দেখা গেছে। ১০ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নামার সুযোগ পেয়েছেন লিখন। তবে খেলেছেন মাত্র ১ ম্যাচ।

রিশাদ বিপিএলে দল পেলেও পরে বাদ পড়েছেন করোনাভাইরাসের অজুহাতে। তার পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া বিপ্লব এখানো একাদশে জায়গা পাননি। বিপিএলে দল পেলেও একাদশে উপেক্ষিত আলিস। আফ্রিদি তো বিপিএলেই জায়গা পাননি। রাজ্জাকের যুক্তি, ঘরোয়া ক্রিকেটেই যারা সুযোগ পান না তারা জাতীয় দলে কিভাবে বিবেচিত হবেন?

রাজ্জাক বললেন, ‘জাতীয় দল সুযোগ দেয়ার জায়গা না। লেগ স্পিনার খোঁজা হয়েছিল। লিখনকে নেয়া হয়েছিল, টেস্টে সে কিন্তু ভালো করেছে। হঠাৎ সে আর ভালো করতে পারেনি তাই সে বাইরে চলে গেছে। বিপ্লব কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লেগ স্পিন করেছে। লিগগুলোতে যখন ম্যাচ পাচ্ছে না আর ভালো করছে না, তখন থেকে কিন্তু বিপ্লবও জাতীয় দলে খেলেনি।’ 

সঙ্গে যোগ করেন রাজ্জাক, ‘যদি ওরা ঘরোয়ার খেলাগুলো খেলতে না পারে তাহলে জাতীয় দলে আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো কিভাবে খেলবে। সেটা তো চিন্তা করতে হবে। সুযোগ যদি দিতে হয় তাকে কি জাতীয় দলে সম্ভব? বিপ্লবের বাবা মারা গিয়েছিল তখন ও বাজে সময় কাটিয়েছে। তারপর ও ইনজুরিতে পড়েছিল। আমরা বলছি না যে সুযোগ নেই। তবে আবারও প্রমাণ করতে হবে।’

টিআইএস