বাংলাদেশ দলে ওপেনিং পজিশনে হতশ্রী অবস্থা দীর্ঘদিনের। তামিম ইকবাল না থাকায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই দৈন্যতা আরো বেড়েছে। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও রানের দেখা পাচ্ছেন না ওপেনাররা। এজন্য আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজের দলে ইমরুল কায়েসকে ফেরানোর দাবি জোড়ালো হচ্ছে। সে দাবি ধোপে টিকতে দেননি আব্দুর রাজ্জাক।

বিপিএলে ওপেনাররা রান খরায় ভুগছেন। সৌম্য সরকার ৪ ইনিংস খেলে করেছেন মোটে ৫৭ রান। নাঈম শেখ ৫ ইনিংসে ৪২ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ ইনিংসে ১৩৪ রান করলেও ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা নেই। শুধুমাত্র লিটন দাসই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। একটি পঞ্চাশঊর্ধ্ব ইনিংসের সাহায্যে ৩ ইনিংসে লিটনের সংগ্রাহ ১০০ রান। আসন্ন আফগান ওপেনিংয় নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন নির্বাচকরা। 

তবে ব্যর্থতার পরেও এই ওপেনারদের বাইরে অন্য কেউ ভালো না করায় জটিল অংকের হিসাব মেলাতে হচ্ছে না। রোববার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে নির্বাচক রাজ্জাক বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। দল তো ওভাবে করলে হয় না। আসতে হবে তো, ওপেনার আমি তো বানিয়ে দিতে পারবো না। এটাও না যে আলোচনা হচ্ছে না তা কিন্তু না। প্রত্যেকটা জায়গা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। কোন জায়গাতে আরও বেটার করা যায়। সবজায়গার জন্যই ভালো দেখা হচ্ছে।’

নাঈম, শান্ত, সৌম্যদের বাইরে ভালো করারদের তালিকা করতে গেলে আসবে ইমরুল কায়েসের নাম। নিজের সবশেষ ম্যাচে কুমিল্লার হয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে পজিশন বদলে মিডল অর্ডার থেকে ওপেন করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬২ বলের ৯১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তবে এই এক ইনিংস দেখে ইমরুলকে নিয়ে ‘লাফালাফি’ করতে রাজী নন রাজ্জাক।

রাজ্জাকের জবাব, ‘পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই আসলে দল করা হবে। যারা পারফরম্যান্স করে না তাদেরকে নিয়ে লাফালাফি করা ঠিকও না আমি মনে করি। ইমরুল গত ম্যাচটা ভালো খেলেছে। কিন্তু অনেকদিন ভালো খেলেনি। আপনি ন্যাশনাল লিগ থেকে যদি চিন্তা করেন তাহলে কিন্তু আপ টু দ্য মার্ক না। কিন্তু আমি ওকে ব্লেইম করবো না। কারণ খেলোয়াড়দের ভালো সময় খারাপ সময় থাকবেই।’

রাজ্জাকের কথা অবশ্য একদম অযাচিত নয়। এই ৮১ রানের ইনিংস ছাড়া ইমরুল বাকি চার ম্যাচে ত্রিশের ঘর পেরোতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৮ এসেছে মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে। বাকি তিন ম্যাচে আউট হয়েছেন ১০, ১৫ ও ১ রান করে। এ ছাড়া জাতীয় লিগের গত আসরে ইমরুল ২ ম্যাচে চার ইনিংস ব্যাট করে ১৩৯ রান করেছেন। আর বিসিএলে ৩ ম্যাচে ৬ ইনিংস ব্যাট করে ১৫০ রান করেছেন। জাতীয় লিগে ফিফটি থাকলেও বিসিএলে পঞ্চাশ রানের কোটা ছুঁতে পারেননি।

টিআইএস