ডমিঙ্গো-সিডন্সদের বিকল্প হিসেবে তৈরি হচ্ছেন আফতাব-ডিকেন্সরা
জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদেরকে ক্রিকেট বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রাখতে বাংলাদেশ টাইগার্স নামের একটি দল গঠনের পরিকল্পনা ছিল বিসিবির। অবশেষে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। ২৩ ক্রিকেটার নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলন পর্ব। প্রথম পর্বের ক্যাম্প চলবে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত।
এই ক্যাম্পে দেশি আর বিদেশি মিলিয়ে কোচিং স্টাফের সদস্য সংখ্যা ১৩ জন। যেখানে দেশিদেরই আধিক্য। মিজানুর রহমান বাবুল, আফতাব আহমেদ, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সসহ স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফের সদস্য ১১ জন। বিসিবির ভাবনা, বাংলাদেশ টাইগার্স দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা যেমন জাতীয় দলের বিকল্প, তেমনি জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, জেমি সিডন্সদের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে বাংলাদেশ টাইগার্সে কাজ করা কোচদের।
বিজ্ঞাপন
বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা একটা প্রোগ্রাম। মূলত জাতীয় দলকে প্রস্তুত রাখার জন্য। জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকা ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ টাইগার্সে থাকবে। দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য এটা বড় সুযোগ। শুধু খেলোয়াড় না। আমরা এখানে স্থানীয় কোচদের সুযোগ দিচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত সূচি। টানা খেলায় অনেক সময় কোচিং প্যানেলের বিরতির প্রয়োজন হয়। অনেকেই পারিবারিক কারণে ছুটিতে যান। সে সময় স্থানীয়রা যাতে চালিয়ে নিতে পারেন, সেই ভাবনা বিসিবির।
বিজ্ঞাপন
নিজামউদ্দিনের ব্যাখ্যা, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন ব্যস্ত সূচি। প্রতি বছর খেলার সংখ্যা বেড়েই চলছে। সেখানে কোচিং স্টাফদেরও বিরতি দিতে হয়। সেই বিরতির সময় যেন বাংলাদেশ টাইগার্সে যারা কাজ করছেন তাদের জাতীয় দলে নিতে পারি, এভাবেই পরিকল্পনা করা।’
বাংলাদেশ টাইগার্সের কোচিং স্টাফের সদস্যরা হলেন : প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, বোলিং কোচ চম্পাকা রামানায়েকে, ব্যাটিং কোচ আফতাব আহমেদ আর আশিক মজুমদার, স্পিন কোচ মোহাম্মদ সোহেল ইসলাম, ফাস্ট বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের আর নাজমুল হোসেন, ফিল্ডিং কোচ উমাকান্ত প্যাটেল আর ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, অ্যানালিস্ট আর উইকেট কিপিং কোচ নাসির আহমেদ নাসু, ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী, ফিজিও থেরাপিস্ট মোজাদ্দেদ আলফা সানি, লজিস্টিক ম্যানেজার সজল আহমেদ চৌধুরী।
টিআইএস/এটি