অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাকিব আল হাসানের মা শিরিন আক্তার। সঙ্গে ছেলে আইজাহ আল হাসান ও ছোট মেয়ে ইরাম হাসান নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। তারাও ভর্তি আছেন দাদির সঙ্গে। অন্যদিকে বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি ঠাণ্ডা-জ্বরে ভুগছেন। সবমিলিয়ে পারিবারিকভাবে বেশ সংকটের মুহূর্ত পার করছেন টাইগার অলরাউন্ডার।

এমন পরিস্থিতিতে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফর চালিয়ে যাবেন কি না এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, এখনই ফেরার ভাবনা নেই সাকিবের। পরিবারের সদস্যরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাই খেলা চালিয়ে যাবেন সাকিব। যদি পরিস্থিতি বাধ্য করে, তবে যেকোনো সময় দেশের পথ ধরবেন তিনি।

সোমবার জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু আগামী ২৩ মার্চ আরেকটা ওয়ানডে আছে, সেহেতু সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃতীয় ওয়ানডে খেলে আসবে যদি না এখানে সিরিয়াস কোনো ক্রাইসিস হয়। পরিস্থিতি এমনও হতে পারে যে, হয়তো তাকে এখানে আগেই আসতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতি যদি তৈরি না হয় তাহলে তৃতীয় ওয়ানডে খেলে আসবে। তো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, আমরা অপেক্ষা করছি। বড় কোনো ক্রাইসিস না হলে তৃতীয় ওয়ানডেতে আমরা তাকে পাচ্ছি।’

সঙ্গে যোগ করেন জালাল ইউনুস, ‘সে যদি মনে করে থাকে এখানে (বাংলাদেশে) তার উপস্থিত থাকা দরকার, অবশ্যই আমরা চাইব সে চলে আসুক। যদি এরকম পরিস্থিতি থাকে তাহলে টেস্টেও তো একটা প্রশ্ন থাকে, সে খেলবে নাকি খেলবে না। সবকিছু নির্ভর করছে তার পারিবারিক পরিস্থিতির ওপর। সবকিছু চিন্তা ভাবনা করেই হয়তো সে সিদ্ধান্ত নেবে।’

সাকিবের শ্বাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাকিবের মা হার্টের রোগী। নিয়মিত রুটিন চিকিৎসা চললেও অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।

সাকিবের স্ত্রী-সন্তান অবশ্য বাংলাদেশে থাকেন না। ছুটিতে ঘুরতে এসেছেন তারা। আলাইনা হাসান অব্রি এর আগে দেশে আসলেও বাকি দুই সন্তান এবারই প্রথম এসেছে বাংলাদেশে। ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়া বিপিএলের সময় দেশে আসেন সাকিবের স্ত্রী-সন্তানরা।

টিআইএস/এটি/জেএস