দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা ভালোই করেছিল। আগের ম্যাচে স্বাগতিকদের জেতানো কুইন্টন ডি কক আর ইয়ানেমান মালান শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। তবে ডি কককে বেশি দূর এগোতে দেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে ফিরিয়ে ৫০ ছুঁতে দেননি স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটিকে।

আগের ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাসটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেটা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল দলটি, সেখান থেকেই যেন তৃতীয় ম্যাচটা শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। শুরু থেকেই বাংলাদেশী বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে উঠেছিলেন মালান আর ডি কক।

ডি কক অবশ্য কিছুটা রয়েসয়েই খেলছিলেন, মালান যে তাকে সুযোগই দিচ্ছিলেন না! যখন সুযোগটা মিলল, তখন অবশ্য তা কাজেও লাগাচ্ছিলেন। চতুর্থ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে চার মেরেছিলেন। 

সপ্তম ওভার করতে আসা মিরাজের বলেও মারলেন চার। সে ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট লেন্থে বলটা ফেলেছিলেন সদ্য অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা দলে উঠে আসা এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার। সেটাই সীমানাছাড়া করে বসেছিলেন ডি কক।

পরের বলে কৌশলে পরিবর্তন আনলেন। দিলেন খানিকটা ঝুলিয়ে। সেটাই তুলে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে গেল ডি ককের। লং অনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তাতে ৪৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।

এনইউ/এটি