এর আগে কখনোই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। বিশ্বকাপের মঞ্চেই প্রথম দেখা। পুরো বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ না হারা অস্ট্রেলিয়াকে ভালোই চাপে রেখেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শেষ অবধি অবশ্য হারতে হয়েছে ম্যাচটি।

ওয়েলিংটনে নারী বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে ৫ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৬৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। 

আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার। বেশিক্ষণ অবশ্য স্থায়ী হয়নি ওই শুরু। ১৭ বলে ১২ রান করা মুর্শিদার দারুণ ক্যাচ নেন হেইনস। ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। 

এরপর ফারজানা হক পিংকি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও ফেরেন দ্রুতই। যথাক্রমে ২২ বলে ৮ ও ৩০ বলে ৭ রান করেন তারা। ৫৬ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান আরেক ওপেনার শারমিন আক্তার। 

শেষদিকে রুমানা আহমেদ, লতা মণ্ডল ও সালমা খাতুনের ব্যাটে চড়ে বড় হয় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ৪৫ বলে ১৫ রান আসে রুমানা আহমেদের ব্যাট থেকে। ৬৩ বলে ৩৩ রান করেন লতা আর সালমা খাতুনের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১৫ রান। 

নির্ধারিত ৪৩ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে বাংলাদেশ। অজিদের পক্ষে ৮ ওভার বল করে অ্যাশলে গার্ডনার নেন দুই উইকেট। ৯ ওভারে ১৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন জেস জোনাসেনও।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে সালমা খাতুনের বোলিংয়ে বেশ চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের ২২ রানে এলিসা হিলিকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সালমা খাতুন। ২২ বলে ১৫ রান করে ডিপ স্কয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা জাহানারা আলমের হাতে ক্যাচ দেন হিলি। তিন নম্বরে খেলতে নামা অধিনায়ককে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরান সালমা। ৮ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি তিনি, হয়েছেন বোল্ড। 

২৩ বলে ৭ রান করা রিচেল হেইন্সকেও আউট করেন সালমা। তাকে ক্যাচ বানান ফারজানা হকের। পরে তানিলা ম্যাকগ্রাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন নাহিদা আক্তার। এরপরই অবশ্য জুটি গড়ে ফেলেন বেথ মনি ও অ্যাশলে গার্ডনার। 

দুজনের ২৯ রানের জুটি ভাঙেন রুমানা আহমেদ। ১৬ বলে ১৩ রান করা এই ব্যাটারকে অফ ব্রেকে বোল্ড করেন তিনি। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি অজিদের। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন মনি। ৫ চারে ৭৫ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩৯ বলে ২৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সাদারল্যান্ড।