বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন খুব বেশি দিন হয়নি। তবে অ্যালান ডোনাল্ডকে ইতোমধ্যেই একরাশ মুগ্ধতা উপহার দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা। মূলত ‘অ্যাটিটিউড’ দিয়েই ডোনাল্ডকে অবাক করে দিয়েছেন তাসকিনরা। ‘সাদা বিদ্যুৎ’ খ্যাত ডোনাল্ড জানালেন, এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও দারুণ কিছুর আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তিনি।

ডোনাল্ড বললেন, ‘তাদের এপ্রোচ দেখে আমি অবাক ও খুশি হয়েছি। তাসকিন, শরিফুল, খালেদদের এটিটিউড প্রথম দেখাতেই অনেক ভালো লেগেছে। তারা ম্যাচে সেরাটা দিতে চায়। তারা অনেক মন দিয়ে আমার কথা শোনে। আশা করি দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন ভালোভাবে তারা কাজে লাগাবে। ওয়ানডে সিরিজে আগ্রাসী ছিল ওরা, পরিকল্পনা ভালোভাবে বাস্তবায়ন করেছে।’

চলতি বছর বাংলাদেশ দল প্রতিপক্ষের মাঠে দারুণ কিছু ইতিহাসই গড়ে বসেছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ম্যাচ জয়, তাও আবার টেস্ট ফরম্যাটে। এরপর ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয়। এমন সব কীর্তির পর টেস্ট সিরিজের আগেও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ডোনাল্ড। 

বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের ভাষ্য, ‘আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী। আমি সবসময় মানসিক দিকটাকে গুরুত্ব দেই। ক্রিকেট হল এটিটিউড ও মানসিকতার খেলা। অনেক পরিকল্পনাই আপনি করতে পারবেন। কিন্তু মাইন্ডসেট ও এপ্রোচ ঠিকঠাক কাজ না করলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। এই পেসাররা যেভাবে তাদের কাজ করছে তা দারুণ। দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে, এটা অনেক কিছু। তারা নিউজিল্যান্ডেও করে দেখিয়েছে। এখানেও তা হতে পারে।’ 

আইপিএলের জন্য কাগিসো রাবাদাসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বোলারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই বলে স্বাগতিকরা ছেড়ে কথা বলবে, এমনটাও মনে হচ্ছে না সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের। তার মনে হচ্ছে, টেস্টের লড়াইটাও হবে সেয়ানে সেয়ানে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাদা, নরকিয়া, এনগিডি নেই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে তাদের ব্যাকআপ পেসাররাও অনেক ভালো। ডুয়ান অলিভিয়ের নেতৃত্ব দেবে পেস বিভাগকে। ডুপাভিলন আসতে পারে। আশা করছি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট সিরিজই হবে।’

আগামী ৩১ মার্চ সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। খেলাটা হবে ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে। এককালে যে মাঠের উইকেটে ব্যাটারদের বুকে কাঁপন ধরাতেন পেসাররা। সেই মাঠে এবার বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্টের লড়াইটা কেমন হবে? ডোনাল্ডের অভিমত, ‘নব্বই দশকের দিকে এটা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম উইকেটগুলোর একটি ছিল। সবুজ উইকেট, অনেক ঘাস থাকত, অনেক গতি থাকত। এই মৌসুমের শুরুতে আমার ঘরোয়া দল কিছু ম্যাচ খেলেছে, ৩ স্পিনার নিয়ে খেলেছিলাম, বোলারদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তাই ভালো ব্যাটিং উইকেটের প্রত্যাশাই করব।’

উইকেটের প্রকৃতিটা কেমন হবে, তাও আঁচ করতে পারছেন ডোনাল্ড, ‘একটু স্পিনও কাজ করতে পারে, তবে আমি নিশ্চিত নই। এখনও উইকেটে ঘাস রয়ে গেছে। বল ভালোভাবে ব্যাটারের কাছে আসছে। বড় জুটি হতে পারে। বোলারদের জন্য তাই কঠোর পরিশ্রম হবে। ম্যাচের শেষদিকে স্পিন ধরতে পারে। তবে খুব বেশি সহায়তা পাবে বলে মনে করি না।’ 

এনইউ