বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তী ফুটবলার এনায়েতুর রহমান। অনেকের মতে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনিই সেরা ফুটবলার। সেই এনায়েত দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে গত চার মাস দেশে রয়েছেন। আজ বিকেলে মোহামেডান ক্লাব প্রাঙ্গণে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

মোহামেডানের হয়ে ১৯৭৮ সালে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এনায়েত। সেই মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন। মোহামেডানের আরেক কিংবদন্তী ফুটবলার প্রতাপ শঙ্কর হাজরা আজ এনায়েতের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি কবীর ভাইয়ের অনেক ভক্ত ছিলাম। তার সমকক্ষ যদি কেউ থাকে তাহলে তিনি অবশ্যই এনায়েত।’ 

মোহামেডানের আরেক তারকা ফুটবলার ছাইদ হাসান কানন তার ফুটবলার হওয়ার পেছনে এনায়েতের অবদান সম্পর্কে বলেন, ‘৭৭-৭৮ সালের দিকে আমি তখন স্কুলে পড়ি। মোহামেডানের সমর্থক, খেলা দেখতে এসেছি। আবাহনীকে হারানোয় খুব খুশিতে মাঠে ঢুকে পড়ি। এত দর্শকের ভিড়ে এনায়েত ভাই ধাক্কা দিয়েছিলেন। তখন জিদ হয়েছিল এই মাঠে ফুটবল খেলব। সেই জিদ থেকেই আমি ফুটবলাঙ্গনে।’ 

সাবেক ফুটবলাররা আরো অনেকে এনায়েত সম্পর্কে তাদের নানা স্মৃতি স্মরণ করছিলেন। এনায়েত তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি খুবই সাধারণ একজন ফুটবলার। আপনারা যে সংবর্ধনা সম্মাননা দিচ্ছেন, এর যোগ্য আমি নই। আপনাদের ভালোবাসাই আমার পাওয়া।’ 

মোহামেডানে খুব দীর্ঘ সময় খেলেননি। তবে মোহামেডানে খেলার সময়ই মূলত তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন। সেই মোহামেডান বিশ বছর প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় না। মোহামেডান ক্লাব সম্পর্কে এনায়েতের পর্যবেক্ষণ, ‘মোহামেডান ক্লাব একটি বিশেষ স্পিরিটের সঙ্গে জড়িত। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মোহাম্মদের স্পিরিটে মোহামেডান। এটা মনে রাখতে হবে। এখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় কোনো বিষয় নেই। মোহামেডান ক্লাবে অর্থও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।’

মোহামেডানের সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক এনায়েতকে মোহামেডান মাস্টার্সের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজকে মোহামেডান ক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন ক্লাবের পরিচালক আবু হাসান চৌধুরি প্রিন্স। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব সহ আরো অনেকে। মোহামেডান ক্লাবের পক্ষ থেকে এনায়েতকে ক্রেস্ট, ব্লেজার ও তার নামে করা বিশেষ জার্সিও দেয়া হয়।

এজেড/এনইউ