ফাইল ছবি

এতকাল দেশি কোচেই ভরসা ছিল স্কোয়াশে। এক সময় ব্রোঞ্জপদক জিতলেও নেপাল সাউথ এশিয়ান গেমসে তা হারিয়েছে। তবে ২০২৩ সালে পদক পুনরুদ্ধারের জন্য বিদেশি কোচের সন্ধান করছেন স্কোয়াশ র‌্যাকেটস ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। 

শুক্রবার মুজিববর্ষ গ্রেস টোন ভাষা দিবস স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জিএম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও হংকংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কোচ আনার জন্য। তবে এশিয়ান স্কোয়াশ ফেডারেশনের মাধ্যমে আনতে হবে। তাই কোচ দেখে এশিয়ান স্কোয়াশ ফেডারেশনে বৃত্তান্ত পাঠানো হবে। পদক পুনরুদ্ধারে যা প্রয়োজন আমরা তাই করবো।’ 

সারা দেশে প্রায় ১৮টি জেলায় স্কোয়াশ কোর্ট রয়েছে। কোনটিতে পরিবার বসবাস করে। আবার কোনটিতে জায়গা হয়েছে গরু কিংবা ছাগলের। দেশে ছড়িয়ে থাকা এসব স্কোয়াশ কোর্ট উদ্ধারে কাজ চলছে বলেও জানান কামরুল ইসলাম। 

এদিকে স্কোয়াশে দীর্ঘদিন রাজত্ব করা সুমন চৌহান, মাসুদ রানা ও শহিদুল ইসলামের গন্ডি থেকে বেড়িয়ে আসতে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতার উপর জোর দিতে চাইছেন কামরুল, ‘আমরা বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টের মাধ্যমে খেলোয়াড় বাছাই করবো। তাছাড়া বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) স্কোয়াশ খেলোয়াড় নিচ্ছে এ বছর থেকেই। আশাকরি আমাদের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো হবে। ইতোমধ্যে আমরা রুনা ফারজানার (সুমন চৌহানের ভাগ্নি) মতো আট বছরের একজন বালিকাকে মাসিক চার হাজার টাকা বৃত্তি দিয়ে পরিচর্যা করছি। আশা করি ভবিষ্যতে সে আমাদের সম্পদে পরিণত হবে। তাদেরকে আমরা উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশেও পাঠাবো।’

শুক্রবার আর্মি স্কোয়াশ কোর্টে শুরু হওয়া ভাষা দিবস টুর্নামেন্টের পুরুষ ও নারী বিভাগের পাঁচটি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন ৯৭জন খেলোয়াড়।

এজেড/এটি/এমএইচ