ছবি : বিসিবি/রতন গোমেজ

একাদশে তিন স্পিনার, আর একজন বিশেষজ্ঞ পেসার। স্বাভাবিক অনুমানই বলে উইকেটে অন্তত দ্বিতীয় দিন থেকেই ধরবে স্পিন, বল বাঁক নেবে ধনুকের মতো। কিন্তু মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনেও দেখা মেলেনি টার্নের। উল্টো বাড়তি বাউন্স ক্ষণে ক্ষণে কিছুটা অসুবিধায় ফেলছে ব্যাটসম্যানদের। উইকেটের এমন আচরণে কিছুটা হতাশ বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল।

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ পেসাররা উপেক্ষার শিকার হন, বাড়তি সুযোগ পান স্পিনাররা। এ রেসিপি মানা হয়েছিল মিরপুরে চলমান দ্বিতীয় টেস্টেও। তবে প্রথম ইনিংস শেষে দেখা গেল পেসার আবু জায়েদ রাহীই বরং সফল, প্রয়োজনীয় সময়ে উইকেট তুলতে না পেরে ব্যর্থ স্পিনাররা। তিন স্পিনার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ আশা করেছিল স্পিন উইকেট। তা না হওয়াতে কিছুটা আশাহত তামিম। 

তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনাটা যেমন ছিল, সেটা আর যাই হোক এমন উইকেটের ছিল না। যখন ঘরের মাঠে কোন দল তিন স্পিনার নেয় তখন এটা রকেট সায়েন্স না, আপনার বুঝতেই পারেন আমরা আরও বেশি স্পিন ধরবে এমন উইকেট প্রত্যাশা করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা স্পিন হয়নি যে কারণেই হোক না কেন। সো আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছিলাম।’

শেষ চার-পাঁচ বছরে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে স্পিন আক্রমণেই ঘায়েল করেছিল বাংলাদেশ। তেমন কিছুর রেসিপি ছিল এখানেও। তামিম বলেন, ‘আপনি জানেন যে আমরা জিতেছিলাম দুইটা বড় দলের সাথে ইভেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথেই শেষ যখন জিতেছি তখনও এই কম্বিনেশনেই সফল হয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে উইকেট স্পিনারদের সাহায্য করেনি এখানে, দেখা যাক সামনে কি হয়।’

দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল দ্রুত উইন্ডিজের উইকেট তোলা। কিন্তু তামিম জানালেন, উইকেটের দোষেই সম্ভব হয়নি সেটা! বাংলাদেশ ওপেনারের কথা, ‘আজকে যত তাড়াতাড়ি উইকেট নিতে পারি, সে চেষ্টাটা ছিল। তাহলে ওদের ৩০০ রানের মধ্যেই আটকে রাখা যেত। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, উইকেট খুব ভালো ছিল, আমাদের স্পিনারদের একদমই সাহায্য করেনি। এছাড়া তারা বেশ ভালো ব্যাটিংও করেছে। সবকিছু আমাদের ভুলের কারণে এমন নয়, কিছু ক্রেডিট তাদেরও দিতে হবে। জোসেফ, জশুয়া অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।’

দ্বিতীয় দিনের নির্বিষ বোলিং আর ভুলে ভরা ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জেতা ইতোমধ্যেই কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে তামিম আশা ছাড়েননি এখনো, ‘বিশ্বাস তো করতেই হবে। যেটা বললাম যদি চারটা উইকেট না পড়তো তাহলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকতাম। কঠিন, কিন্তু আমি বলব না যে আমি এটা বিশ্বাস করিনা। আমরা নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখছি যে এখান থেকে ভালো কোন বড় পারফরম্যান্স হবে। এবং আমরা চেষ্টা করবো পরিস্থিতি বদলের।’

এমএইচ