মাহমুদউল্লাহ ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন/ফাইল ছবি

উরুর ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম টেস্টের পর দল থকে ছিটকে যান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শুরুতে জানা যায়, সাকিবের পরিবর্তে আর কাউকে দলে নেওয়া হবে না। তবে শেষমুহূর্তে এসে সৌম্য সরকারকে দলভুক্ত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অথচ সৌম্যকে নয়, সাকিবের পরিবর্তে অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে চেয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। তবে সাকিব প্রথম টেস্টে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে আর ফিরতে পারেননি। স্ক্যানের পর জানা যায়, ঢাকা টেস্টে পাওয়া যাবে না টাইগার অলরাউন্ডারকে। ১৮ সদস্যের স্কোয়াড হলেও জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থাকা সৌম্যকে দলে নেওয়া হয়। এমনকি একাদশেও জায়গা পান তিনি। তবে ম্যাচে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য। 

প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৩ রান, বল হাতে উইকেট নেন একটি। সৌম্যর দলভুক্তিতে মোটেও খুশি নন পাপন। মাহমুদউল্লাহকে চেয়েছিলেন তিনি। সৌম্য ছিলেন চার নম্বর পছন্দ। কাঁধের চোটে ভোগা রিয়াদকে না পেলে মোসাদ্দেক হোসেন ও শেখ মেহেদী হাসানকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন পাপন।

শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘যখন শুনলাম সাকিব ইনজুরিতে, তখন একটা পরিবর্তন লাগবে। তখন এক এক করে অনেক নাম বলা হয়েছে। ওখানে আমার সামনে আকরাম ছিল, নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন) ছিল, সুজন (খালেদ মাহমুদ) ছিল, সুমন (হাবিবুল বাশার) ছিল। আমি ওদেরকে অপশন দিয়েছিলাম চারটা থেকে পাঁচটা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নাম্বার ওয়ান, তারপর মোসাদ্দেক, শেখ মেহেদী, এবং চতুর্থ অপশন ছিল সৌম্য। তারা সৌম্যকে বাছাই করেছে।’  

‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে কল দিয়েছিলাম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বললো তার ব্যাক পেইন। সাথে সাথে বললাম তাড়াতাড়ি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের খোঁজ করো। খোঁজ করলো। খোঁজ করে বললো মোসাদ্দেক তো ঢাকায়ই নাই। আমরা চেষ্টা করেছি। ওদের চয়েজ একটাই। বাকি কারো নাম বলে নাই।’

নাজমুল হাসান পাপন, সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

উইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারের জন্য অধিনায়ক মুমিনুল হক ও হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে জবাবদিহিতা চাইবেন বলে জানান তিনি, ‘এমনেও তো পাঁচটা পেসার আছে। কেন খেলছে না? চট্টগ্রামেও খেলার কথা ছিল খেলে নাই। এখানেও অন্তত দুইজন খেলবে আমাকে কনফার্ম করেছে। কিন্তু খেলে নাই কেন? আমাকে তো বলা হচ্ছে খেলবে। পরে তো দেখি নামছে না। ক্যাপ্টেন আর কোচ (ডিসিশন মেকার) এখানে আর আমরা কেউ নাই তো আর। (জবাবদিহি) চাইবো সবার কাছে অবশ্যই।’

টিআইএস/এনইউ