বিকেএসপিতে ভিন্ন দুই ম্যাচে মাঠে নেমেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স আর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শিরোপার দৌড়ে থাকা শেখ জামালের প্রতিপক্ষ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। অন্যদিকে নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্স লড়ছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে। তিন নম্বর মাঠে গাজীর বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রূপগঞ্জের ফজলে মাহমুদ রাব্বি। রোববার চার নম্বর মাঠে নুরুল হাসান সোহান আর মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে শেখ জামাল।

আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ২৩২ রান করে শেখ জামাল। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন সোহান। ৩২ রানে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন মিরাজ। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তিনটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে টেবিলের শীর্ষে থাকা জামালের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রাইম ব্যাংকের স্পিনার রাকিবুল হাসানের জোড়া আঘাতে ফেরেন মুশফিকুর রহিম আর তাইবুর রহমান। দলটি ৮৬ রান না হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১৫ আর মুশফিক ফেরেন ১৪ রান।

দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত শতকে দলকে জেতানো সোহান। এবারও ত্রাতা হয়ে আসেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পারভেজ রসুলকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে পার্টনারশিপ গড়ার পথে ৮৮ বলে ফিফটির দেখা পান সোহান। উইকেট পেতে মরিয়া প্রাইম ব্যাংক এনামুল হক বিজয়কে দিয়ে বাজিমাত করে। ৩৭ রানে রসুলকে ফেরান বিজয়, মিথুনের হাতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে। ভেঙে যায় ৫৯ রানের জুটি। 

সোহান দারুণ ব্যাটিং করেও থামেন ৭১ রানে। আর শেষ দিকে মিরাজের ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২৩২ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

এদিকে ঠিক পাশের মাঠেই টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে গাজী গ্রুপকে  ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন ফজলে মাহমুদ। ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে ১০৭ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। যদিও শতকের পরে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। 

এ ছাড়া ইমরানুজ্জামান ৭৩, মার্শাল আয়ুব ৫৩ ও আরিফুল হক ৪১ রান করেন। সাদ নাঈম ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। গাজীর হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জয়নুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান।

টিআইএস/এটি