শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইঙ্গিত দেন, দলের প্রয়োজনে টেস্ট খেলতে হবে মুস্তাফিজুর রহমানকে। এমনকি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে তাকে। তবে টেস্ট খেলতে না চাওয়া মুস্তাফিজের ব্যাপারে এখনই হার্ডলাইনে যাচ্ছে না বোর্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচ টেস্টের প্রথম ম্যাচের স্কোয়াডে রাখা হয়নি মুস্তাফিজকে। তবে কাটার মাস্টারকে নিয়ে ভাবনা বন্ধ হচ্ছে না।

লঙ্কানদের সঙ্গে দুই ম্যাচ টেস্টের প্রথম ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামে। দ্বিতীয় ম্যাচটি ঢাকায়। চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াডে না থাকলেও দলের প্রয়োজনে ঢাকা টেস্টে ফেরানো হতে পারে মুস্তাফিজকে, আজ (রোববার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নানু।

নান্নু বলেন, ‘আমরা যতগুলো চুক্তির ক্রিকেটার আছে সবাইকে নিয়ে আলোচনা করি। মুস্তাফিজকে নিয়েও আলোচনা করেছি। এটা আমাদের মাথায় আছে। যখন দলের প্রয়োজন হবে তখন দেখবো। এখন আমরা প্রথম টেস্টের দল দিয়েছি। যদি দ্বিতীয় টেস্টে দরকার হয় তখন চিন্তা করবো।’

এদিকে মুস্তাফিজ না থাকলেও ১৬ সদস্যের ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়েছেন ডানহাতি পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। সুযোগ হারিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। এই দুই জনের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করছেন নান্নু।

নান্নু বলছিলেন, ‘কিছু কিছু স্টেপ আছে, খেলোয়াড়দের কম্বিনেশন তৈরি করতে হয়। রাহী থাকছে না এটা ঠিক না। সে তো গত সিরিজেও দলে ছিল। যেহেতু হোম সয়েলে খেলা, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি। হোম সয়েলে আমাদের অন্য একটা পরিকল্পনায় খেলা হয় তাই ওকে বাদ রেখেছি। যখন বাড়তি সুইং দরকার হয়, বিদেশের মাটিতে ওকে নিয়ে আমরা চিন্তা করি।’

সঙ্গে যোগ করে বোর্ডের এই প্রধান নির্বাচক, ‘যেহেতু হোম সয়েলে খেলা সাদমানকে আমরা অনুশীলন ম্যাচে দলে রেখেছি। আরও কিছু খেলোয়াড় আছে ওই জায়গাটায়। তৈরি রাখা হচ্ছে সব খেলোয়াড়কে। যাকে যখন দরকার হবে তখন নেওয়া হবে। এখন তো বায়োবাবলের রেসট্রিকশন নেই, তাই যখন যাকে দরকার দলে নেয়া যাবে।’

টিআইএস