খেলোয়াড়ি জীবনে মারকাটারি ব্যাটিং আর আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্বের জন্য ব্রেন্ডন ম্যাককালামের খ্যাতি ছিল বেশ। সেই ম্যাককালামকেই শেষমেশ নিজেদের টেস্ট কোচ হিসেবে ঘোষণা করল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ৪০ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটারের নতুন জীবন শুরু হবে তার দেশের বিপক্ষে সিরিজেই। তবে তার জন্য একটা শর্ত অবশ্য পূরণ করতে হবে তাকে। আগামী ২ জুন লর্ডসে অনুষ্ঠেয় সেই টেস্টের আগে পেতে হবে ইংল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট।

ইংল্যান্ড দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ব্রেন্ডনকে আমাদের টেস্ট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিশ্চিত করে আমরা যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। তাকে জানতে পারা, খেলাটার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারাটা একটা দারুণ ব্যাপার। আমি বিশ্বাস করি, তাকে দায়িত্ব দিয়ে উপকৃতই হবে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল।’

বর্তমানে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচিংয়ের দায়িত্বে আছেন সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এর মধ্যেই এই সুখবর পেলেন তিনি।

রব কি তো বটেই, কোচ নির্বাচন প্যানেলে ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কার্যনির্বাহী টম হ্যারিসন, কৌশলগত উপদেষ্টা অ্যান্ড্রিউ স্ট্রাউস ও পারফর্ম্যান্স পরিচালক মো বব্যাট। তাদের সবাই তার কাজে বেশ মুগ্ধ। সে কারণেই তাকে নিয়ে আলোচনাটা চলেছে জোরেশোরে। এমনকি তাকে নিয়ে আলোচনার পর তাকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও মিলেছে সবার সম্মতি।

কলকাতা নাইট রাইডার্স তো বটেই, ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোচিংয়েরও অভিজ্ঞতা আছে তার। তবে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরেছে কেবল সে পর্যন্তই। এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর কোনো ক্রিকেট ম্যাচে তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করেননি। সেই ম্যাককালামের ইংল্যান্ড টেস্ট দলের কোচ হয়ে আসাটা তাই একটা চমক হিসেবেই এসেছে ক্রিকেট বিশ্বে।

রব কি অবশ্য দর্শক-সমর্থকদের বললেন রোমাঞ্চের অপেক্ষায় থাকতে। বললেন, ‘ব্রেন্ডন ও বেন স্টোকস ভয়ঙ্কর এক কোচ-অধিনায়ক জুটি হবে বলেই মনে হচ্ছে আমার। এখন তাই সিটবেল্ট বেধে যাত্রায় সঙ্গী হওয়ার সময়।’

এর আগে অ্যাশেজ ব্যর্থতার জেরে চাকরি যায় সাবেক কোচ ক্রিস সিলভারউডের। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বটা পালন করেন দলটির সাবেক অধিনায়ক পল কলিংউড। তখনই বলা হয়েছিল সাদা ও লাল বলের জন্য দুইজন আলাদা কোচ চাই দলের। ম্যাককালামকে শুধু টেস্টের দায়িত্বটা দিয়ে সে কাজটাই অর্ধেক শেষ করল ইডব্লিউসিবি।

এনইউ