বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি সাকিব আল হাসান। এই আলোচনার সিংহভাগ সাকিবের টেস্ট সিরিজ আসলে সেখানে উপস্থিত না থাকার কারণে। পাঁচদিনের ফরম্যাটের সিরিজ সামনে এলেই যেন ‘অক্রিকেটীয়’ ব্যস্ততা বেড়ে যায় টাইগার অলরাউন্ডারের। টেস্টে খুব বেশি পাওয়া যায় না তাকে। এ নিয়ে আলোচনায় আসে সাকিবের টেস্ট খেলতে না চাওয়ার অনীহার কথা। তবে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার বা ক্রিকেট বোর্ড, কেউই স্বীকার করেনি এ কথা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট স্কোয়াডে সাকিবের নাম থাকলেও আবার আলোচনায় তিনি। এবার আলোচনা অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে। এই ফরম্যাটের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান না মুমিনুল হক, সেখানে নতুন নেতৃত্বের আলোচনায় আছেন সাকিব। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, অধিনায়ক হলে অনীহা কাটিয়ে সাকিব এই ফরম্যাটে নিয়মিত হবেন তো? এখানেই প্রশ্ন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের। জানালেন, সাকিব অন্য ফরম্যাটের থেকে টেস্ট বেশি উপভোগ করেন।

আজ বুধবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সুজন বলছিলেন, ‘সাকিব সব সময় টেস্ট খেলতে চায় এখন। আমি জানিনা কেন কথাটা বারবার আসে, সাকিব টেস্ট খেলতে চায় না। সাকিবের সঙ্গে যতবার কথা বলেছি, সে বলে আমি অন্য ফরম্যাটের থেকে টেস্ট বেশি উপভোগ করি। আমি সব সময় বেশি টেস্ট খেলতে চাই।’

টেস্ট খেলতে চাওয়া সাকিবকে অধিনায়ক হিসেব পছন্দ সুজনের। তবে সেটি এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানালেন, সাবেক এই অধিনায়ক। সাকিবের সঙ্গে টেস্ট অধিনায়কের আলোচনায় তামিম ইকবালের নাম উচ্চারণ হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

সুজন বলেন, ‘যদি সাকিব খেলতে চায়, (নেতৃত্ব) সাকিব দিতে চায়, আমি মনে করি সেটা সাকিবেরও একটা পরিবর্তন আসতে পারে। আমি বলছি না সাকিবই টেস্ট ক্যাপ্টেন হবে বা তামিমও আছে। মাহমুদউল্লাহ যেহেতু ছেড়ে দিয়েছে, মুশফিকও আছে। তবে সে নেবে কিনা সেটা বড় ব্যাপার। তো কে হবে আমি জানি না।’

সঙ্গে যোগ করেন সুজন, ‘ক্যাপ্টেন সিনিয়র বা জুনিয়র, যে ই হোক না কেন, আমি মনে করি অন্তত দুই বছর একটা অধিনায়ককে সময় দেয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং যে অধিনায়ক হবে সে চিন্তা করুক, কিভাবে চায়।’

টিআইএস/এটি/এনইউ