উত্থান-পতনকেই জীবনের সঙ্গী বানালেন নাঈম
সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ৭ টেস্ট। গায়ে লেগেছে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা। অনেকের মতে বাতিলের খাতায় নাম পড়ে যায় তার। মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করছিলেন, তাতে নাঈম হাসানের ফেরার রাস্তাটা সুগম ছিল না। তবে মিরাজের চোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে বাজিমাত নাঈমের। এরপর আবার সঙ্গী হলো চোট।
প্রত্যাবর্তন রাঙিয়েও ডান হাতের আঙুলে পাওয়া চোট নিয়ে এখন বোলিংয়ে ফেরার অপেক্ষায় এই অফ স্পিনার। আজ রোববার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, বারবার পাওয়া চোট, আবার ফেরা- সব মিলিয়ে উত্থান-পতনকে জীবনের সঙ্গী বানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নাঈম বলেন, ‘আসলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একজন স্পোর্টসম্যানের জীবনে উত্থানপতন থাকবেই। চেষ্টা করবো আমি যখন ফিরবো তখন যেন আরও শক্তভাবে ফিরতে পারি। ইনজুরিতো আমার হাতেও ছিল না কারও হাতেই ছিল না। আসলে ওরকম (আফসোস) কিছু হয় না। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমি এমনিতেই শুরুতে ছিলাম না। পরে আল্লাহ সুযোগ করে দিছে। এরপর খেললাম, ভালো খেললাম, ইনজুরিতো আমার হাতে ছিল না। যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’
১৫ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন নাঈম। সেই ম্যাচের চতুর্থ দিনে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান তিনি। চোট নিয়েই বোলিং চালিয়ে যান। ম্যাচ শেষে এক্স-রে করানোর পর জানা যায়, নাঈমের আঙুল ভেঙে গেছে। এজন্য পরে ঢাকা টেস্টের দল থেকে ছিটকে যান ২২ বছরের এই স্পিনার।
বিজ্ঞাপন
ফিরেই আবার চোট সঙ্গী হলেন, কতটা হতাশ কাজ করে? নাঈম বলছিলেন, ‘এখন আমার হাতে আছে শুধু পরিশ্রম করা। চেষ্টা থাকে সবসময় নিজেকে রেডি রাখার। যখনই সুযোগ আসবে চেষ্টা থাকবে শতভাগ এফোর্ট দেওয়ার। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে আবার সুযোগ দিলে আমার চেষ্টা থাকবে নিজের শতভাগ দেওয়ার। একজন স্পোর্টস ম্যানের লাইফে তো ইনজুরি আসবেই। ওটা নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। আমাদের চেষ্টা থাকবে পরে যেন আরও স্ট্রংলি ফিরে আসতে পারি।’
আরেকবার এক্স-রে করানোর পর যদি দেখেন সব ঠিকঠাক আছে, তবে আগামী সপ্তাহ থেকেই বোলিং শুরু করবেন নাঈম। যোগ দিতে পারেন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে।
নাঈম বলেন, ‘এখন আগের থেকে অনেক ভালো। আরও সপ্তাহ খানেক পর আবার দেখবে বলল। ১২ বা ১৫ তারিখ থেকে বোলিং শুরু করতে পারবো আশা করছি। এখন সাইক্লিং করছি আর জিম করছি।’
টিআইএস/এটি