১৬ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে রীতিমতো খাদের কিনারেই চলে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এরপরই নিকলাস পুরান আর কেসি কার্টি রীতিমতো গলার কাঁটা হয়েই দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য। তাদের শেষ জনকে ফিরিয়ে অবশেষে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন নাসুম আহমেদ।

তাইজুল ইসলাম ঝলমলে এক শুরুই এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। নিজের প্রথম দুই ওভারেই শিকার করেছিলেন দুই উইকেট। এরপর আঘাত হেনেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাতে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ আরও একটা ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রমাদ গুনছিল।

তবে এরপরই উইন্ডিজ লড়াইয়ে ফিরেছে পুরান আর কার্টির ৬৭ রানের জুটিতে ভর করে। দুজনের ১২৮ বলের জুটি ধীরগতির হলেও বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা ক্রমে বাড়িয়েই চলেছিল। থিতু হয়ে যদি চড়ে বসে এই জুটি!

সেই দুশ্চিন্তা থেকে অবশেষে বাংলাদেশকে মুক্তি দেন নাসুম। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এদিনও শুরু থেকে বেশ কিপটে বোলিংই করে চলেছিলেন। তবে উইকেটের জন্য অপেক্ষা বাড়ছিল ক্রমেই। সেই অপেক্ষাটা শেষ হয় তার পঞ্চম ওভারে। ইনিংসের ২৭তম ওভারে তিনি আক্রমণে এসেই তুলে নেন কার্টিকে।

তার করা গুডলেন্থের বলটা পেছনের পায়ে গিয়ে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন কার্টি। তবে শটটা প্রয়োজনীয় জোর পেল না। তাতেই বল গিয়ে জমা পড়ে লং অনে থাকা তামিম ইকবালের হাতে। ৮৩ রানে চতুর্থ উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। 

এনইউ