ভারত-পাকিস্তান মহারণের আবহ বদলে গেছে। পুরোনো দিনের মতো ঝাঁজ এখন আর মেলে না খুব একটা, দুই দলের লড়াই এখন বরং মিষ্টতার অনন্য নজিরই হয়ে থাকে বেশি।

আজকের ম্যাচের আগে বিরাট কোহলিকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কথা জানিয়েছিলেন বাবর আজম, পাকিস্তান অধিনায়ককে নিয়েও মিষ্টি কথার পসরাই সাজিয়ে বসেছিলেন কোহলি। এরই মধ্যে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামান করে বসলেন অদ্ভুত এক কাণ্ড, যা রীতিমতো আরও আলোচনারই জন্ম দিয়ে বসেছে।

পাক ইনিংসে তখন চলছে ষষ্ঠ ওভার। শুরুতে বাবর আজমকে হারানোর ধাক্কা সামলে পাকিস্তান আভাস দিচ্ছিল পাল্টা আক্রমণের। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ফখর জামানের জুটিটাকেও মনে হচ্ছিল জমে ক্ষীর। তখনই আঘাতটা হানেন আবেশ খান। 

তাত উঠতে থাকা বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ফখর। ব্যাটে যে বলটা চুমু দিয়ে গেছে, সেটা ফখর ছাড়া আর কেউ টেরই পাননি। তার প্রমাণ মিলছিল ভারতের প্রতিক্রিয়ায়। আবেশ তো বটেই, দীনেশ কার্তিকও বুঝতে পারেননি বলে ব্যাটের ছোঁয়াটা। ফলে আবেদন করেননি কেউই।

তবে সেসব আমলে না নিয়েই ফখর হাটা শুরু করেন প্যাভিলিয়নের দিকে। ক্রিকেট মাঠে অবশ্য এমন কিছু মোটেও নতুন কিছু নয়। এর আগে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, শচীন টেন্ডুলকারদের মতো কিংবদন্তিরাও নজির দেখিয়েছেন এভাবে আবেদনের আগে স্রেফ আউট বুজে স্বেচ্ছায় প্যাভিলিয়নে হেঁটে চলে যাওয়ার। তবে গিলক্রিস্ট-টেন্ডুলকারদের সঙ্গে ফখরের আছে একটা বড় পার্থক্য। গিলক্রিস্টের দুই বার, কিংবা শচীনের সেই এক ওয়াক’ এর ঘটনায় জোর আবেদনই তুলেছিল প্রতিপক্ষ। ফখরের বেলায় প্রতিপক্ষ টেরই পায়নি, বল ছুঁয়ে গেছে তার ব্যাট।

ফেরার আগে ফখর করেছেন ৬ বলে ১০ রান। ফলে রিজওয়ানের সঙ্গে তার ১৯ বলে ২৭ রানের জুটিটারও ইতি ঘটে সেখানেই। পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই পাকিস্তান খুইয়ে বসে দুই উইকেট।

এনইউ