টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই পড়তি ফর্মের সঙ্গে লড়ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে কারণে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বও হাতছাড়া হয়ে গেছে তার। এবার প্রশ্ন উঠছে তার অবসর নিয়ে। মুশফিকের পর কি মাহমুদউল্লাহও অবসর নিতে চলেছেন? এমন একটা গুঞ্জনও চলছে বেশ।

টি-টোয়েন্টির ফর্মের কারণে জায়গা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ এশিয়া কাপে আবার দলে আনা হয় তাকে। দুই ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৫২ রান, বল খেলেছেন ৪৯টি। এমন ফর্মের কারণে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেই তার জায়গা পড়ে গেছে অনিশ্চয়তার দোলাচলে। 

আরও পড়ুন>> মুশফিকের অবসর ঘোষণায় হৃদয় ভেঙে গেছে মাহমুদউল্লাহর

আজ মিরপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছেও ধেয়ে গেল মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে প্রশ্ন। শুরুতে আসে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। সেখানে তাকে দেখছেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমার জন্য বলা ভেরি ডিফিকাল্ট। কারণ হচ্ছে কি, টিম কম্বিনেশনের ওপরও অনেক কিছ নির্ভর করে। কম্বিনেশনে ওরা কি চিন্তা করছে সেটা নিয়ে যতক্ষণ আমাকে না বলছে তাহলে তো বুঝতে পারছি না।’

মুশফিকের অবসর ঘোষণা এসেছিল ফেসবুকে। তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে বোর্ডকে ‘জানিয়ে’ অবসরের ঘোষণা দেওয়ার অনুরোধই যেন জানালেন পাপন, যেন খেলোয়াড়দের আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সম্মানজনকভাবে’ অবসরের সুযোগটা পায় বিসিবি।

আরও পড়ুন>> টি-টোয়েন্টি দলে হঠাৎ মাহমুদউল্লাহ

পাপনের কথা, ‘যদি ওকে রিটায়ার্ড করতে হয় এবং আমরা যদি ওকে জায়গা না দিতে পারি তাহলে ওকে এই সুযোগ মিনিমাম রেসপেক্ট তো দেয়া উচিত। কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের। ইভেন মুশফিকও। মুশফিক অবসর নিয়েছে, আমাদের তো খারাপ লাগে। শেষ দিন পর্যন্ত বলে যাচ্ছি, মুশফিক আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। একেকটা ফরম্যাটে একেক জনের জায়গা হয় না টিম কম্বিনেশনের কারণে সেটা ভিন্ন বিষয়।’

‘ভবিষ্যৎ চিন্তা করলে হয়তো আমি দুই বছর পর অনেককে পাবো না। টিম তৈরি করতে চাচ্ছে সেটাও ভিন্ন ইস্যু। তবে ডেফিনেটলি প্লেয়াররা নিজের নিজের ডিক্লেয়ার না করে যদি আমাদেরকে সুযোগ দেয়, আমরা তাদেরকে রেসপেক্টফুললি বিদায় দেব। যেটা যে কোনো ফরম্যাটে। সেই সুযোগটা তারা যেন আমাদেরকে দেয়।

এনইউ/এটি