রোববার শ্রীলঙ্কা-নামিবিয়ার ম্যাচের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। প্রথম রাউন্ড শেষে ২২ তারিখ থেকে শুরু হবে সুপার টুয়েলভ তথা আসরের মূলপর্ব। ১৬ দলের অংশগ্রহনে আয়োজিত বিশ্ব আসরে তেমন কোনো ঘাটতি রাখেনি স্বাগতিক দেশ অস্ট্রেলিয়া। অজিদের বিশাল আকৃতির ছয়টি মাঠে গড়াচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টি-টোয়েন্টি ভেন্যু ব্রিসবেনের গ্যাবা বেশ ঐতিহ্যবাহী এক নাম। 

১৮৯৫ সালে কুইন্সল্যান্ডের ওলুংগাব্বা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় গ্যাবা স্টেডিয়াম। মূলত ওলুংগাব্বা এলাকার নাম অনুসারে স্টেডিয়ামটির এমন নামকরণ করা হয়েছে। ক্রিকেট খেলার জন্য বানানো হলেও এই মাঠে শুধু ক্রিকেট খেলাই হয় না, ফুটবল-রাগবি, অ্যাথলেটিকস-বেসবল হয়ে সাইক্লিংয়ের মতো খেলাও আয়োজিত হয় এখানে। 

১৮৯৬ সালে এ মাঠের প্রথমবারের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় গ্যাবায়, প্রথম খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল পার্লামেন্ট বনাম দ্য প্রেস। তবে এ ম্যাচের আগেও ক্রিকেট খেলা হয়েছে গ্যাবায়। তবে তখন এই মাঠটি গ্রিন হিলস নামে পরিচিত ছিল। বিশাল আকৃতির মাঠটির মোট ধারণক্ষমতা ৪২,০০০।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যসব মাঠের মতো গ্যাবার পিচও পেসবান্ধব। বোলাররা সুইংয়ের পাশাপাশি কাটার-স্লোয়ারেও সুবিধা পেয়ে থাকেন। বড় মাঠ ও বোলারদের সুবিধা থাকলেও এখানকার উইকেটগুলো রানস্বর্গ। 

গ্যাবার মাঠটি অস্ট্রেলিয়ার অনেক অনেক ইতিহাসের সঙ্গী। ১৯৩১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্ট খেলাটি গড়িয়েছিল ব্রিসবেনের এই মাঠেই। এছাড়া ২০০৬ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে নিজেদের প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি এই মাঠেই খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এখান থেকেই দেশের মাঠে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাস শুরু হয়েছে।

আসছে ৩০ অক্টোবর বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে এ মাঠেই লড়বে বাংলাদেশ। এর আগে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও এই মাঠেই। চলতি বিশ্বকাপের মোট তিনটি ম্যাচ হবে ব্রিসবেনের গ্যাবায়।