এ বছরও হচ্ছে না বিপিএল?
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছিলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর জন্য একটি ফাঁকা সময় রাখা হয়েছে। তবে আজ শনিবার মিরপুরে বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, চলতি বছর বিপিএল আয়োজনের সুযোগ কম। বিপিএলের আসন্ন আসর মাঠে গড়াতে পারে ২০২২ সালের শুরুর দিকে।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিযোগিতামূলক আসর বিপিএল। আগের ৬ আসর এই টুর্নামেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে চললেও করোনার প্রকোপ শুরুর আগে ২০১৯ সালের সবশেষ আসরে নিজেদের তত্ত্বাবধানে বিপিএল আয়োজন করে বিসিবি। এরপর কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়লে গেল বছর বিপিএল আয়োজন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় ক্রিকেট বোর্ড।
বিজ্ঞাপন
আইপিএল, সিপিএল, পিএসএল এমনকি লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের আসরও আয়োজন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ২০২০ সালে বিপিএলের আয়োজনের ভাবনা থেকে সরে আসে বিসিবি। ২০২০ গড়িয়ে ২০২১, করোনার ভীতি অনেকটাই কেটে গেছে। নিয়মিত মাঠে গড়াচ্ছে ক্রিকেটও। তবু এ বছর বিপিএল আয়োজনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এবারের কারণ, ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা।
চলতি বছর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে ক্যালেন্ডার প্রস্তুত হচ্ছে, সেখানেও এ বছর বিপিএলের জন্য ফাঁকা সময় নেই। কিন্তু আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ আয়োজনের ভাবনা আছে বিসিবির, শেষপর্যন্ত এ দুই সিরিজ না হলে তখন বিপিএল নিয়ে ভাবতে পারে ক্রিকেট বোর্ড।
বিজ্ঞাপন
শনিবার গণমাধ্যমকে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বিপিএল হচ্ছে কি হচ্ছে না সেটা আমরা আমাদের সূচি দেখে বলতে পারবো। দুইটা উইন্ডো খোলা আছে। একটা নভেম্বরে। ওই সময়ে আবার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা আছে। আবার ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড আসার কথা সম্ভবত। সেটা হলে বিপিএল পিছিয়ে জানুয়ারিতে হতে পারে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা ক্রিকেট ক্যালেন্ডার নিয়ে দু’দিন মিটিং করেছি। আমাদের জাতীয় দলের যে ব্যস্ত সূচি। এর ফাঁকে ফাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি সাজাতে হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের ঢাকা লিগ আছে। জাতীয় লিগ এবং বিসিএল ও বিপিএল আছে। এখন পর্যন্ত ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত যা আছে, তাতে মার্চে এনসিএল এবং মে মাসে ঢাকা লিগ শুরু করার কথা। সব কয়টি সিদ্ধান্ত আলোচনার পর আসবে।’
টিআইএস/এনইউ